ওয়ারীর লকডাউন এলাকায় অব্যবস্থাপনা নেই : ডিএসসিসি
রাজধানীর ওয়ারী এলাকার একাংশে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। তবে লকডাউন এলাকায় কোনো অব্যবস্থাপনা নেই বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক। আজ শনিবার দুপুরে ওয়ারীর লকডাউন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ইমদাদুল হক বলেন, ‘লকডাউন এলাকায় আমাদের কোনো অব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিটি কাজ আমরা সুচারুভাবে পালন করছি। তবে প্রথম দিন হিসেবে যদি কোনো ঘাটতি থেকে থাকে, তা আগামী দিনগুলোতে ঠিক হয়ে যাবে।’
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ওয়ারীতে আজ ভোর ৬টা থেকে ২১ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। লকডাউন চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।
ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমাদের কোথাও কোনো গ্যাপ নেই। ই-কমার্স রয়েছে, ভ্যান সার্ভিস রয়েছে। তারা বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ভেতরে অবস্থান করছে। ওষুধের ফার্মেসিগুলো খোলা রয়েছে। আমাদের দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী তিন শিফটে কাজ করছেন। এ ছাড়া আমাদের অফিসার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লোকজন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।’
সকাল থেকে লকডাউন ঘোষিত এলাকার মানুষের অবাধ যাতায়াত, সড়ক, গলি ও গলির মুখ কার্যকরভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইমদাদুল হক বলেন, ‘মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে দুজন ডাক্তার রয়েছেন, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত ৪৬ রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করছেন এবং প্রয়োজনে সহায়তা করা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স রেডি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত আছে। লকডাউন এলাকায় নমুনা কালেকশন করা হচ্ছে।’
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ওয়ারী এলাকার তিনটি রোড ও পাঁচটি গলি এই লকডাউনের অধীনে রয়েছে। রোডগুলো হলো টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) পর্যন্ত। গলিগুলোর মধ্যে লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যানকিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিটে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।’