এবার কোরবানির হাটে আসছে কালীগঞ্জের ‘মেসি’
বিশাল দেহ। চলে হেলেদুলে। খায় ফল, ভুসি ও ঘাস। মালিক আদর করে নাম দিয়েছেন ‘মেসি’। মেসি জন্ম নিয়েছে তিন বছর আগে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুরে আহাদ আলীর বাড়ির গোয়ালঘরে।
মেসির মালিক আহাদ আলী বলেন, “আমার বাড়িতে পোষা একটি দেশি জাতের গাভির গর্ভে সিমেন প্রবেশ করাই। এর পর জন্ম নেয় এই মেসি। উন্নত জাত আর শান্ত প্রকৃতির কারণে আমি তাঁকে ছোটবেলায় নাম দিয়েছি ‘মেসি’। আমার পরিবারের একজনের মতই বড় হচ্ছে গরুটি।”
আহাদ আলী আরো বলেন, ‘মেসিকে প্রতিদিন ফলমূল, ভুসি ও কাঁচা ঘাস খেতে দেওয়া হয়। তার জন্য প্রতি মাসে খাবার খরচ হয় ছয় থেকে আট হাজার টাকা। রয়েছে চিকিৎসা খরচ। সব মিলিয়ে গত তিন বছরে মেসিকে পুষতে আমার খরচ হয়েছে আড়াই লক্ষাধিক টাকা।’
আহাদ আলীর দাবি, মেসির ওজন হবে ৭০০ কেজি। বিশাল আকৃতির গরু ‘মেসির’ দাম হাঁকা হয়েছে চার লাখ টাকা। আসন্ন কোরবানির ঈদে এই দামে বিক্রির আশা করছেন ‘মেসির’ মালিক।
আহাদ আলীর দাবি, গরুটি পালন করতে কখনো মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় খাবার খৈল, ভুসি ও কাঁচা ঘাস দিয়ে লালনপালন করা হয়েছে।