দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের শুরুতেই টিকা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়া। টিকা নেওয়ার জন্য আজ বুধবার দুপুর ২টায় তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত হন।

এদিকে টিকা নেওয়ার জন্য চিকিৎসক, পুলিশ, নার্স, সেনা সদস্যসহ কয়েকজন ইতোমধ্যে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেছেন।

এ বিষয়ে তারা মিয়া বলেন, ‘প্রথমে টিকা নিচ্ছি। এতে ভয়ের কিছু লাগছে না। নিজ থেকেই টিকা নিতে এসেছি।’

আজ সাড়ে ৩টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ জনকে টিকা দেওয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়ার পর তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চূড়ান্তভাবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ক্যাটাগরির মানুষের মধ্যে টিকা দেওয়া হবে।

ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ ও সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৫০ লাখ টিকা দেশে এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, টিকাদান প্রক্রিয়া ছয় ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথমে এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে নিবন্ধন। অনলাইন পোর্টাল থেকে টিকা কার্ড সংগ্রহ। এরপর টিকা দেওয়ার তারিখ ও তথ্য পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে এবং প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট তারিখে পরবর্তী ডোজ দেওয়া হবে। দুই ডোজ নেওয়ার পর সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম থেকে ভ্যাকসিন সনদ দেওয়া হবে। টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেছে সরকার। আর নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ।

প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ ১৭ ক্যাটাগরির লোকজন করোনার টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।