ঈদ আনন্দের চেয়ে বেঁচে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে ঈদের আনন্দ উদযাপনের চেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সকালে সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এবার এক ভিন্ন বাস্তবতায় ঈদুল ফিতর হতে যাচ্ছে। ঈদের আনন্দ উদযাপনের চেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বেঁচে থাকলে আমরা ঈদ উদযাপনের সুযোগ পাব। এখন করোনাবিরোধী লড়াইয়ে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারে নির্দেশনা প্রতিপালন করি, স্থানান্তর না করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’
সরকার দুটি চ্যালেঞ্জ পার করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখন দুটো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা এবং আরেকটি হচ্ছে সুপার সাইক্লোন আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে সাইক্লোন-পরবর্তী পুনর্বাসন তৎপরতা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।’
‘দুর্যোগ মোকাবিলায় অতীতের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী দক্ষতার সঙ্গে সাফল্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দুর্যোগের অমানিশায় আলো হাতে আঁধারের সাহসী কাণ্ডারী। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে চলছে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্বাসনের কাজ। সশস্র বাহিনী বিশেষ করে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সিভিল প্রশাসনকে উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা, পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এবং বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ করছে। পাশাপাশি পুলিশ ও সামাজিকে-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ কাজে এগিয়ে এসেছে।’
শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগে থেমে থাকেনি বাংলাদেশ। প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে মর্যাদার সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়ানো এক দেশ বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা করোনাভাইরাস সংকট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ। আপনারা মনে সাহস রাখুন, মনোবল হারাবেন না। দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে পরীক্ষিত নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে।’
করোনাভাইরাস সংকটে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।