ঈদের দিন বন্দিদের যে বিশেষ খাবার দেওয়া হলো
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল আজহার দিন এবং ঈদের পরের দিন কারাগারে থাকা বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার সকালে নামাজের পর পর সেমাই, পায়েস ও মুড়ির সঙ্গে দুপুর ও রাতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা দেশের ৬৪টি কারাগারে থাকবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাস কুমার বসু আজ বুধবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে নয় হাজার ১০৫ জন বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে নারী-পুরুষ এবং ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছে। তবে, তারা যেন ঈদের আনন্দ উদ্যাপন করতে পারে এবং ভালো খাবার খেতে পারে সেজন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুভাস কুমার বসু বলেন, সকালে নামাজের পরপরই বন্দিদের সেল বা ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রকারের সেমাই ও পায়েসের সঙ্গে মুড়ির ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া দুপুরে পোলাও, গরুর ও খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, সালাদ এবং পান-সুপারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাতে মাছ ও সবজির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা পরের দিনও অব্যাহত থাকবে। তবে, অন্যান্য বার ঈদের দিন স্বজনেরা বন্দিদের জন্য খাবার নিয়ে এলেও, এবার সেটি হবে না। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার বন্দিদের সঙ্গে ঈদের দিন স্বজনদের সাক্ষাৎ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
মানবিক বিবেচনায় এ কারণে ঈদের পরের দিনও তাদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি কারা অভ্যন্তরে ঈদের নামাজের আয়োজন করে কারা কর্তৃপক্ষ। যেখানে বিভিন্ন বন্দি থেকে কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। দেশের বিভিন্ন কারাগারগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার বন্দি রয়েছে। যাদের প্রত্যেকের জন্য একই ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।