আসছে নতুন নেতৃত্ব, বাদ পড়ছেন বিতর্কিতরা
জাতীয় শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার। সকাল ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে ওই সম্মেলন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ও ঘোষণা করা হবে।
শ্রমিক লীগের নতুন নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হবে কমিটি থেকে। শুধু শ্রমিক লীগ নয়, সবগুলো সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে আসবেন সৎ এবং যোগ্যরা। সংগঠন গতিশীল করতে বির্তকমুক্ত হওয়ার জন্য যা যা করার সবই করা হবে ,নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে সংগঠনগুলোকে।’
শ্রমিক লীগের বর্তমান সভাপতি শুকুর মাহমুদ বলেন, ‘অনৈতিক ভাবে কেউ যেন দুর্নীতি করতে না পারে সে জন্য আমি সব সময় তদারকি করার চেষ্টা করেছি। আমাদের শ্রমিক লীগের কেউ বড় ধরনের অপকর্মের সাথে ওই ভাবে জড়িত বলে মনে হয় না।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা নাই, তবে দল ক্ষমতায় এলে স্বাভাবিকভাবে একটু তো পরিবর্তন আসেই।’
সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছরের জন্য বর্তমান কমিটি নির্বাচিত হলেও এবার দীর্ঘ সাত বছরের বেশি সময় পর জাতীয় সম্মেলন হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী নেতৃত্বে কারা আসছেন- এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
সংগঠনের বর্তমান সভাপতি শুকুর মাহমুদ একই পদে আবারও নির্বাচিত হতে চাইছেন। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নামও সভাপতি পদের আলোচনায় রয়েছে।
এ ছাড়া শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে আলোচনায় আছেন সহ সভাপতি সরদার মোতাহের হোসেন, হাবিবুর রহমান আকন্দ, আমিনুল হক ফারুক, এজাজ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সিরাজুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ, শামসুল আলম মিলকী, কে এম আজম খসরু, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. সুলতান আহমেদ, শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহমেদ।
অর্থ সম্পাদক মো. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড সিবিএতে তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। শ্রমিক লীগের দুই কমিটির অর্থ সম্পাদক। শিবচর থানা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবে আছি। প্রত্যাশা করি দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, দুদকের মামলা যাদের বিরুদ্ধে আছে, অন্য দল থেকে যারা এসে গত কাউন্সিলে পদ পেয়েছে; তারা যেন এবার না আসে।’
১৯৬৯ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে কৃষক লীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে সংগঠনটি। তবে দীর্ঘ দিন কোন সম্মেলন না হওয়ায় নেতৃত্বে জট পড়ে গেছে বলেও দাবি করেছেন নেতা কর্মীরা।