আশ্রয়ণের ৫০ পরিবারের পাশে ঈদসামগ্রী নিয়ে জেলা প্রশাসক
অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে কোনো রকমে চলে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার ভরতুষি গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০টি পরিবার। হতদরিদ্র ওই সমস্ত পরিবারের দুবেলা খাবারই জোটে না, তাদের সংসারে ঈদ আনন্দ কল্পনা করাই যেন দুঃস্বপ্ন। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক নতুন কাপড় ও ঈদসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের সময় কাটছিল দুশ্চিন্তায়। রাত পোহালেই ঈদ। কিন্তু তাদের টাকা পয়সা নেই ঈদসামগ্রী কেনার। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৫০টি পরিবারের মধ্যে ঈদের নতুন কাপড় ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পে হাজির হন। তিনি নিজে ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রকল্পের বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে কাপড় ও ঈদসামগ্রী পৌঁছে দেন। নতুন কাপড় ও ঈদসামগ্রী পেয়ে খুব খুশি নেত্রকোনার আটপাড়ার ভরতুষির আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০টি পরিবারের বাসিন্দা।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনির হোসেন, আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা, এনডিসি মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নন্দন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানিয়া নাজনিন চৌধুরী রেখা, স্থানীয় শুনই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছানোয়ার উদ্দিন ছানু প্রমুখ।
আটপাড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার আটপাড়ার শুনই ইউনিয়নের ভরতুষি গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভূমিহীন হতদরিদ্র ৫০টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। ওই সমস্ত ঘরে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন।
আটপাড়ার ভরতুষি গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা আবু চান, হারেছ উদ্দিনসহ প্রকল্পের একাধিক বাসিন্দা বলেন, আমরা খুব খুশি হয়েছি। আমাদের কোনো কাজ কাম নাই। কি করে ঈদ পালন করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এই সময়ে আমাদের জন্য ঈদের জিনিসপত্র পেয়েছি, এতে আমাদের খুবই উপকার হয়েছে। আমরা অন্তত ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঈদটা করতে পারছি।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘ঈদ সবার জন্য, ধনী গরিব কোনো বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে হতদরিদ্র মানুষের জন্য ঈদসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে এটাই চেষ্টা করা হচ্ছে।’