‘আদেশ গোপন করে জামিন নেওয়া’ ডিআইজি বজলুরের জামিন বাড়ল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন। আজ এ মামলায় বজলুর রশীদের জামিন বাতিলের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নিয়মিত বিচারক ছুটিতে থাকায় বজলুরের জামিন বাতিলের শুনানি আগামী ৮ ডিসেম্বর ধার্য করেন বিচারক এবং ওই দিন পর্যন্ত জামিনের মেয়াদও বাড়িয়ে দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২০ অক্টোবর বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। এরপর গত ২৯ অক্টোবর বজলুর রশীদের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন।
এরপর ১ নভেম্বর বজলুর রশীদের জামিনের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এদিন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত ভার্চুয়াল বেঞ্চকে দুদক জানায়, ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ করোনাকালীন হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুনানির পর হাইকোর্ট সেই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। কিন্তু হাইকোর্টের এই আদেশ গোপন করে বজলুর নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেন এবং বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন। ওই দিনই তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
বিষয়টি নজরে আনার পর হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ দুদককে সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিন বাতিলের আবেদন করতে বলেন। এ ছাড়া দ্রুত মামলার নথি সরবরাহ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা দেন।
আজ সেই বিষয়ে নিম্ন আদালতে শুনানির দিন ছিল। সেখানে ডিআইজি বজলুর রশীদের স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। অপরদিকে দুদকের পক্ষ থেকে জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন বাড়ানোর আদেশ দিয়ে পরবর্তী দিন দেন।
এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এ বিষয়ে তাঁর আয়কর নথিতে কোনো তথ্য নেই। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা তিন কোটি আট লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দুদককে দেখাতে পারেননি।
এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, বজলুর রশীদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য চুক্তি করেন। এরপর ওই বছরের ৭ জুন পর্যন্ত ৫৪ হাজার টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে চেকে পরিশোধ করেন। আর বাকি তিন কোটি সাত লাখ ৪৬ হাজার টাকা নগদে পরিশোধ করেন।