আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পত্র বাতিল করল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
সাধারণ রোগীর চিকিৎসা সেবায় অস্বীকৃতি প্রদানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত পরিপত্র বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বিষয়ক জরুরি নির্দেশনা সংক্রান্ত’ পত্রও বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জারি করা নির্দেশনা রাতে বাতিল করা হয়।
গতকাল সকালে ‘সাধারণ রোগীর চিকিৎসা সেবায় অস্বীকৃতি প্রদানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ’ শীর্ষক পরিপত্রে সই করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব রোকেয়া খাতুন। নির্দেশনায় বলা হয়, ‘...সকল পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে সাধারণ রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা, ইমারজেন্সি চিকিৎসা, আগত নতুন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাসহ ভর্তিকৃত রোগীদের সেবা প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা অমান্য করলে ভুক্তভোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সেনাবাহিনীর টহলপোস্টে দায়িত্বরত কর্মকর্তা/নিকটবর্তী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গতকাল ‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বিষয়ক জরুরি নির্দেশনা সংক্রান্ত’ চিঠিতে সই করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. মো. আমিনুল হাসান। নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক কোনো রোগীকে চিকিৎসা প্রদানে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। যদি কোনো রোগীর কোভিড-১৯–এর লক্ষণ থাকে, তবে প্রথম চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেবেন এবং প্রয়োজনে পিপিই পরিধান করা দ্বিতীয় চিকিৎসকের কাছে পাঠাবেন। তিনি পিপিই পরা অবস্থায় রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেবেন।
এ ছাড়া নির্দেশনায় বলা হয়, জেলা পর্যায়ে সদর হাসপাতাল এবং সব হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স করোনা আক্রান্ত রোগী পরিবহনের কাজে (ড্রাইভার ও পিপিইসহ) নির্দিষ্ট করতে হবে এবং ওই অ্যাম্বুলেন্সটি কোনোভাবেই সাধারণ রোগী পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
এ দুটি নির্দেশনা জারির চিকিৎসক ও চিকিৎসক নেতারা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে চিকিৎসকদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধক নিরাপত্তা পোশাক পিপিই সরবরাহ না করেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে আগের নির্দেশনা বাতিল করে।