অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের দাফন সম্পন্ন
মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আজ দুপুর ১টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক এনটিভি অনলাইনকে খবরটি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দুপুর পৌনে ১২টা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর মাহবুবে আলমকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত জানাজায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট—এ দুই বিভাগের বিচারপতি, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের খতিব মাওলানা সলিম উল্লাহ।
এর আগে আজ সকালে তাঁর মরদেহ মিন্টো রোডের বাসভবনে নেওয়া হয়।
সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মারা যান মাহবুবে আলম। অ্যাটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে গতকাল রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মেয়ের জামাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ রেজাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল জ্বর অনুভব করেন। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ওই দিনই তাঁকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তবে ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে হার্ট অ্যাটাক হলে তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর জ্ঞান স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল, কিন্তু হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিল না। তবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগের তুলনায় তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ২০ সেপ্টেম্বর তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করছিল না। অবস্থা সংকটাপন্ন হতে থাকে।’