রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় প্রেমের সম্পর্ক করে সন্তান জন্মদান এবং সংশ্লিষ্ট কিশোর-কিশোরীর বিয়ে না হওয়ার ঘটনায় অভিভাবকদের তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী ২৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০ টায় ওই কিশোর-কিশোরীর মা-বাবাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

কিশোর আসামির জামিন শুনানিকালে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি কিশোরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার নিশ্চিত করেন।

অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার বলেন, ২০২২ সালের ১ জুন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার হাবিবুর রহমান তাঁর কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী মো. লালমিয়ার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হাবিবুর রহমানের মেয়ে ক্লাস নাইনে পড়ে স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসায়। দেড় বছর আগে তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লাল মিয়ার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে প্রেমের সম্পর্ক করে এবং ২০২১ সালের ১ অক্টোবর মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তারপর একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে। যার ফলে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

গত ২৫ মে আলট্রাসনোগ্রাম করে কিশোরীর গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। গত ১ জুন পীরগাছা থানায় কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ মামলায় কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিশোর আসামি এখন যশোর শিশু সংশোধনাগারে রয়েছে।

গত ঈদুল আজহার দুদিন পরে ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করে। কিন্তু, বিয়ে না হওয়ার সন্তান বাবার স্বীকৃতি পায়নি।

আইনজীবী বলেন, ‘ছেলেপক্ষ কিশোরীর বাবার সঙ্গে কয়েক বার যোগাযোগ করেছে। কিশোরীকে তাদের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে সন্তানের দায়িত্ব নিতে কিশোরের পরিবার রাজি আছে বলে জানায়। কিন্তু, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যের প্ররোচনায় কিশোরীর বাবা বড় অঙ্কের টাকা ও তিন বিঘা জমি লিখে দিতে ছেলের বাবার কাছে দাবি করে। এ কারণে এলাকায় এ বিষয়টির সমাধান হয়নি। বিষয়টি আমি আদালতে কিশোর আসামির জামিন শুনানিকালে বলেছি। হাইকোর্ট সব শুনে কিশোর-কিশোরীর মা-বাবাকে আগামী ২৮ আগস্ট হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে জামিন শুনানি ২৯ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।’