অনিয়ম, বিচ্যুতির বিরুদ্ধে কঠোর থাকবে ইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি চাই না, নির্বাচনে কোনো রকম অভিযোগ, অনিয়ম, বিচ্যুতি নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত গড়াক। আমরা চাই, ছোটখাটো বিচ্যুতিগুলো আপনারাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে সমাধান করে ফেলবেন। যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে।’
‘আমাদের পর্যন্ত যদি অভিযোগ, অনিয়ম, বিচ্যুতি আসে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান আমাদের থাকবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখব কার কার কোন কোন অবস্থায় কার কতটুকু বিচ্যুতি- সেটা বের করব। কঠিনভাবে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। আমরাও কঠোর অবস্থানে থাকব অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে’, যোগ করেন কমিশনের প্রধান।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সভাপতির সূচনা বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
‘সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাদের প্রত্যয় রয়েছে, দৃঢ়তা রয়েছে, অঙ্গীকার রয়েছে, নিষ্ঠা রয়েছে এবং একাগ্রতা রয়েছে’- এমনটা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসে, এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না অথবা ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে এজেন্টদের বাড়ি থেকে এনে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমরা নিতে পারি না।’
বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, ‘গতকাল একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। সেই ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার আগেই আমাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও সেখানে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দিয়েছেন জানানোর জন্য। এরকম তড়িৎভাবে আমরা ব্যবস্থা নিই।’
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আচরণবিধি গুরুতর লঙ্ঘন কিংবা গুরুতর নির্বাচনী অপরাধ সংগঠনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিক ভূমিকা অপরিহার্য। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কমিশন বদ্ধপরিকর রয়েছে।’
ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম। এ ছাড়া ছিলেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান।
আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন মহাপুলিশ পরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকার পুলিশ সুপার।