বাবা-মায়ের পাশে ইব্রাহিম খালেদকে দাফন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে গোপালগঞ্জে তাঁর বাবা-মায়ের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে ঢাকায় ইব্রাহিম খালেদের দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা ভবনে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা এতে অংশ নেন। এরপর গোপালগঞ্জ শহরে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
আজ সকাল পৌনে ৬টার দিকে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের পারিবারিক সূত্র জানায়, তাঁকে গত রোববার বিএসএমএমইউর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর নিমোনিয়াসহ আরও নানা সমস্যা ধরা পড়ে। পরে সেখান থেকে তাঁকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৪১ সালের ৪ জুলাই গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৩ সালে ব্যাংকিং পেশায় যুক্ত হন।
ইব্রাহিম খালেদ ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ১৯৯৬ সালে অগ্রণী ব্যাংক এবং ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
তিনি ৯ ডিসেম্বর ২০২০ সাল থেকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাঁকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।