অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রতিবছরই প্রকাশকরা নতুন নতুন বই নিয়ে উপস্থিত হন পাঠকের সামনে। তাঁদের আয়োজন ও বই ভাবনা নিয়ে আমাদের এ আয়োজন। আজ এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান নাইম।

প্রশ্ন : এবারের বইমেলা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

আরিফুর রহমান নাইম : এবারের বইমেলা নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। বইমেলার আয়োজনে কিছু দুর্বলতা না থাকলে ভালো হবে। পুরোপুরি পাঠকবান্ধব বইমেলা করতে হলে মেলাকে আরো সুবিন্যস্ত করতে হবে। এবার পাঠকরা এসে কাঙ্ক্ষিত স্টল খুঁজে পেতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে। তা ছাড়া আয়োজন আগের বছরগুলোর থেকে ভালো হয়েছে।

প্রশ্ন : এ বছর আপনার প্রকাশনী থেকে বের হওয়া পাঁচটি উল্লেখযোগ্য বই কী? কেন এগুলো উল্লেখযোগ্য?

আরিফুর রহমান নাইম : ঐতিহ্য থেকে বের হওয়া উল্লেখযোগ্য বইয়ের কথা বললে বলতে হয়, সুহান রিজওয়ানের ‘স্বাক্ষী ছিলো শিরোস্ত্রণ’, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মুক্তিযুদ্ধকালীন জীবন নিয়ে লেখা অসাধারণ একটি উপন্যাস। এ এন এম নূরুল হকের ‘মৃত্যু : ধর্ম বিজ্ঞান ও সমাজ-সাহিত্যে মৃত্যুর আদ্যোপান্ত’, মৃত্যু নিয়ে সারা পৃথিবীতে গবেষণাধর্মী ১০-১২টি বইও খুঁজে পাওয়া যাবে না। লেখক নূরুল হকের এটি অসাধারণ একটি গবেষণাগ্রন্থ।

সাংবাদিক লেখক দেওয়ান বারিন্দ্রনাথের লেখা ‘প্রাইভেট লাইফ অব ইয়াহিয়া খান’, অনুবাদ করেছেন রাফিক হারিরি। ইয়াহিয়া খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লেখা একটি অসাধারণ বই। এ ছাড়া রয়েছে মো. নূরুল আনোয়ারের লেখা ‘বঙ্গবন্ধু, জিয়া ও মঞ্জুর হত্যাকাণ্ড  : জতুগৃহ একটিই’, এটি একটি গবেষণাগ্রন্থ। রাজনৈতিক এই তিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা একটি গবেষণাগ্রন্থ। মোগল সম্রাট জহির উদ্দিন মুহম্মদ জালাল উদ্দিন বাবর লিখিত ‘বাবরনামা’, অনুবাদ করেছেন মুহম্মদ জালালউদ্দীন বিশ্বাস। সম্রাট বাবরের লেখা অসাধারণ একটি বই।

প্রশ্ন : আপনার প্রকাশনী থেকে তো হরর জার্নাল, সাইফাই পত্রিকা বেরুল, এগুলোর পাঠক সাড়া কেমন?

আরিফুর রহমান নাইম : খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। বিশেষ করে তরুণ পাঠকদের এতটা সারা পাব, তা আমরা ধারণা করিনি।

প্রশ্ন : এ বছর বইমেলায় প্রকাশকরা কেমন ব্যবসা করবে বলে মনে করেন?

আরিফুর রহমান নাইম : মেলার এ পর্যায়ে এসে আমার ধারণা হয়েছে যে, গত তিন বছরের চেয়ে বেশি পরিমাণ বই এবার বিক্রি হবে।

প্রশ্ন : এত দিন ধরে বই প্রকাশ করছেন, ভালো লেখার পরিমাণ কি বাড়ছে, না কমছে?

আরিফুর রহমান নাইম : ভালো লেখার পরিমাণ খুব বেড়েছে এটা বলা যাবে না। তবে নানা ধরনের বই প্রকাশ বেড়েছে। অনেক প্রকাশনাই ট্র্যাডিশনাল উপন্যাস, কবিতা, গল্পের বই ছাড়াও নানা ধরনের বই প্রকাশ করছে, এটি একটি ভালো লক্ষণ। আমার ধারণা এভাবে এগোতে থাকলে ভালো লেখার পরিমাণও একদিন বাড়বে।