শক্তি ভাট ফার্স্ট বুক পুরস্কারে মনোনয়ন পেলেন বাংলাদেশি লেখক

Looks like you've blocked notifications!
প্রয়াত বাংলাদেশি লেখক নুমাইর আতিফ চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘শক্তি ভাট ফার্স্ট বুক প্রাইজ ২০১৯’-এ মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশি লেখক নুমাইর আতিফ চৌধুরী। তিনি তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘বাবু বাংলাদেশ’-এর জন্য এই মনোনয়ন পেয়েছেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর ভারতভিত্তিক শক্তি ভাট ফাউন্ডেশন ২০১৯ সালের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্ত পাঁচটি উপন্যাসের নাম ঘোষণা করে। ভারতীয় উপমহাদেশের লেখকদের সাড়া জাগানো প্রথম উপন্যাস এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এবারের তালিকায় নুমাইরের বই ছাড়াও মনোনয়নপ্রাপ্ত অন্য বইগুলো হলো নাদিয়া আকবরের ‘গুডবাই ফ্রেডি মারকারি’, রোশান আলীর “ইব’স অ্যান্ডলেস সার্চ ফর স্যাটিসফেকশন”, সাংবাদিক প্রিয়াঙ্কা দুবের ‘নো নেশন ফর ওমেন’ ও টনি জোসেফের ‘আর্লি ইন্ডিয়ানস’।

ভারতের আইবিডিস ব্রাকেট বুকসের সম্পাদক শক্তি ভাটের সম্মানে ২০০৮ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। নতুন লেখকরা তাদের প্রথম লেখা বইয়ের জন্য এই পুরস্কার পান।

বাংলাদেশি লেখক, সাহিত্যের ছাত্র ও গবেষক ড. নুমাইর আতিফ চৌধুরীর লেখা প্রথম বই ‘বাবু বাংলাদেশ’ প্রকাশের পর থেকে বিভিন্নমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেতে শুরু করে। তবে দুঃখজনক হলো- বইটি প্রকাশের আগেই ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাপানের কিয়োটো নদীতে ডুবে অকালে প্রাণ হারান সম্ভাবনাময়ী এই লেখক।

বাবু আব্দুল মজুমদার নামের একজন লেখক, রাজনীতিবিদ, রহস্যময়ী চরিত্রের পরাবাস্তবজীবনকে অবলম্বন করে লেখা উপন্যাসটি যেন বাংলাদেশেরই গল্প। স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে বর্তমান পর্যন্ত সময়টাকে নিয়ে  এগিয়েছে গল্পটি যেখানে এক নবীন যুবক ও এক নবীন রাষ্ট্রের আদর্শ ও আপসকামিতার দিশাহীন যাত্রাকে উপজীব্য করা হয়েছে।

প্রতি বছর শক্তি ভাট ফার্স্ট বুক প্রাইজের বিজয়ী লেখককে দুই লাখ রুপি ও একটি ট্রফি দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। উপন্যাস, কবিতা, ফিকশন, নন-ফিকশন, নাটকসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির লেখা বই এই পুরস্কারের জন্য আহ্বান করা হয়। ২০১৮ সালে সুজাতা গিধলা তাঁর ‘অ্যান্টস অ্যামং এলিফ্যান্টস : এন আনটাচেবল ফ্যামিলি অ্যান্ড দি মেকিং অব মডার্ন ইন্ডিয়া’ উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার পান। আগামী নভেম্বর মাসে এ বছরের চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।