সুবলকুমার বণিকের স্মৃতি নিয়ে স্মরণসভা

Looks like you've blocked notifications!
স্মরণসভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা। ছবি : সংগৃহীত

লেখক, ব্যাকরণবিদ, শিশুমাসিক সাতরং পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সুবলকুমার বণিক মারা যান গত ৬ এপ্রিল। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রহমান সেমিনার কক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে চন্দ্রাবতী একাডেমি আয়োজন করে এক স্মরণসভার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (বঙ্গবন্ধু চেয়ার) শামসুজ্জামান খান, শিশু সাহিত্যিক আলী  ইমাম, কবি ও সাংবাদিক ফারুক মাহমুদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। 

অনুষ্ঠানে সুবলকুমার বণিকের স্মৃতি স্মরণ করে আনিসুজ্জামান বলেন, ‘সুবলকুমার বণিকের চলে যাওয়া  দুঃখজনক। বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে সুবলকুমার বণিক বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।     আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

কথাসাহিত্যিক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সুবল দার মৃত্যু  এখনো মানতে পারছি না।  আমাদের দেশে তাঁর মতো বিশিষ্ট ব্যাকরণবিদের ভীষণ প্রয়োজন। দাদার কাজের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা  ও অধ্যবসায় দেখে আমি প্রতি মূহূর্তেই বিস্মিত হতাম।’

শিশুসাহিত্যিক আমিরুল ইসলাম বলেন, “সদা হাস্যেজ্জ্বল ছিলেন সুবল দাদা। আমার সঙ্গে তাঁর অনেক  কাজের অভিজ্ঞতা আছে। আমি লেখায় কোন ভুল করলে তিনি বিনয়ের সঙ্গে বলতেন, ‘যেটা দিয়েছ সেটা রাখব নাকি বদলে দেব। অথবা বলতেন, এটার একটু পরিবর্তন হলে ভালো হবে।’ অসম্ভভ বিনয়ী ও অসাধারণ সম্পাদক ছিলেন সুবলকুমার বণিক।”

অন্যদিকে, চন্দ্রাবতী একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক কামরুজ্জামান কাজল বলেন, ‘সুবল দাদা ছিলেন চন্দ্রাবতী একাডেমির উপদেষ্টা।তাঁর সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য স্মৃতি। এখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে দাদা আর আমাদের মাঝে নেই। তাঁকে ছাড়া সামনে আমাদের পথচলা অনেক  কঠিন হবে। সেটা এখনই  আমরা বুঝতে শুরু করেছি।’

অনুষ্ঠানে  আরো  উপস্থিত ছিলেন, কবি মারুফুল ইসলাম,  শিশুসাহিত্যিক আমিরুল ইসলাম, রহিম শাহ, হুমায়ূন কবীর ঢালী, কবি মঈন মুরসালিন প্রমুখ এবং সুবলকুমার বণিকের বন্ধু-বান্ধবরা।