ষোলোতম দিনে কেমন ছিল বইমেলা?

Looks like you've blocked notifications!

আজ শনিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়। সকালের অংশটা ছিল শিশুপ্রহর। এ ছাড়াও সকাল দশটায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে শিশুকিশোরদের সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতার চূড়ান্ত নির্বাচন। এতে ক-শাখায় ১৬ জন খ-শাখায় ১৫জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা এবং পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে  বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের মরদেহ শেষ শ্রদ্ধার জন্য বাংলা একাডেমিতে আনা হয়। একাডেমির নজরুল মঞ্চে কবির মনদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

বিকাল ৩টার পর থেকে  বইমেলায় মানুষের  ঢল  নামে। গত তিন দিনের মতো আজও ছিল স্টলে স্টলে বইপ্রেমী দর্শনার্থীদের ভিড়।

নতুন বই

মেলার ষোলোতম দিনে এসে বাংলা একাডেমিতে নতুন বই জমা পড়েছে ২০৬টি। গতকাল পর্যন্ত নতুন বই জমা পড়েছে ১ হাজার ৯শত ৯৯টি। গল্প-উপন্যাস-কবিতা-প্রবন্ধ-অনুবাদ-শিশুসাহিত্য সব ধরনের বই আছে এ তালিকায়। বাংলা একাডেমির হিসাব অনুযায়ী, গত এগার দিন পর্যন্ত সাহিত্যের বিভাগ অনুযায়ী বই জমা পড়েছে: গল্প ৩১৮টি, উপন্যাস ৩২৬টি, প্রবন্ধ ১১৯টি, কবিতা ৬০২টি, গবেষণা ২৯টি, ছড়া ৪৫টি, শিশুতোষ ৫৬টি, জীবনীগ্রন্থ ৬১টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থ ৫২টি, নাটক ১৬টি, বিজ্ঞানবিষয়ক বই ৩০টি, ভ্রমণকাহিনি ৩৩টি, ইতিহাসমূলক ৩০টি, রাজনীতিবিষয়ক ১৯টি, চিকিৎসাসংক্রান্ত ১২টি, রম্য ১৪টি, ধর্মীয় ৮টি, অনূদিত বই ১০টি, সায়েন্স ফিকশন/গোয়েন্দা ২৩টি এবং বাকিগুলো অন্যান্য।

আলোচনা পর্ব

প্রতিদিন বইমেলার মূলমঞ্চে বিকেল চারটার সময় শুরু হয় আলোচনা পর্ব। আজকের আলোচনার বিষয় ছিল: চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর : শ্রদ্ধাঞ্জলি। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মইনুদ্দীন খালেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ফরিদা জামান, নিসার হোসেন এবং মলয় বালা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান। এরপর শুরু হয় কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি ও সংগীত সন্ধ্যা।

লেখক বলছি

অমর একুশে গ্রন্থমেলার এবারের সংযোজন ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে আজ উপস্থিত ছিলেন কবি কবি আসাদ মান্নান, নাট্যকার-ভ্রমণগদ্য লেখক শাকুর মজিদ, কথাশিল্পী আবদুল্লাহ আল ইমরান, গল্পকার মাহফুজ রিপন ও কবি পাপীয়া জেরিন।

এ মঞ্চে বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচজন করে লেখক উপস্থিত থাকেন। প্রত্যেকে ২০ মিনিট করে এই মেলায় প্রকাশিত বই নিয়ে কথা বলেন। সঞ্চালনায় থাকেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা।

অংশগ্রহণের পদ্ধতি

আগ্রহী লেখক বা বইয়ের প্রকাশক মেলার মূল তথ্যকেন্দ্রে এক কপি বই জমা দেবেন। বাংলা একাডেমির ভেতরে এই তথ্যকেন্দ্রে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বই জমা নেওয়া হয়। এর জন্য কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত বইয়ের লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্ধারিত সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। বাংলা একাডেমি থেকে মনোনীত বই বাছাই উপকমিটি এই বই বাছাই করবে। বইয়ের প্রকাশকাল হতে হবে মার্চ ২০১৮ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৯।

মোড়ক উন্মোচন

আজ মোড়ক উন্মোচন করা হয় ২৬টি বইয়ের। গত ১৫দিনে প্রায় পাঁচ শতাধিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় বইমেলার এই মঞ্চে।

অংশগ্রহণের পদ্ধতি

আগ্রহী লেখক বা বইয়ের প্রকাশক মেলার মূল তথ্যকেন্দ্রে মোড়ক উন্মোচনের জন্য বই জমা দেবেন। এজন্য তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। বাংলা একাডেমির ভেতরে এই তথ্যকেন্দ্রে বিকেলে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বই জমা নেওয়া হয়।

আগামীকাল রোববার মেলার ১৭তম দিন। মেলা শুরু হবে বিকাল ৩টার সময়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।