মেলা কথা
বসন্তের বইমেলায় কাব্যগ্রন্থের খোঁজ
বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। বসন্ত মানে হলুদ শাড়ি ও হলুদ পাঞ্জাবি পরে একে অপরের হাত ধরে হাঁটা। মিলনের ঋতু বসন্ত, এ ঋতু মনকে সাজায় বাসন্তী রঙে। মানুষকে করে আনমনা। তাই কবি বলছেন, ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত।’ বসন্ত এসেছে মানুষের মনে, যার বহিঃপ্রকাশ তার উচ্ছ্বাসে। বসন্তের ছোঁয়া গতকাল মঙ্গলবার ছিল বইমেলাতেও।
ফাগুনের প্রথম দিন বাসন্তী সাজে দুপুরের পর থেকেই অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ভিড় করতে থাকেন হাজারো মানুষ। উজ্জ্বল ও বিচিত্র পোশাক পরা পাঠকের আগমনে বইমেলা হয়ে ওঠে রঙিন। পরের দিন, অর্থাৎ আজ ভ্যালেন্টাইনস ডে, তাই বসন্তে প্রেমের কবিতার বইটাই যেন বেশি টেনেছে পাঠক ও ক্রেতাদের।
বসন্তের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে উজ্জ্বল পোশাক পরে বন্ধুকে নিয়ে ঘুরছিলেন শাহিন শেখ। জানালেন, ‘ঋতুর পরিবর্তন হয়েছে, এসেছে বসন্ত, সব ঋতু থেকে এই ঋতু আলাদা। এ ঋতু আমাদের মনকে জাগ্রত করে। এদিনটাকে আর একটু আনন্দময় করতে আমরা বইমেলায় এসেছি। আজকে মেলায় আমরা দুজনেই কবিতার বই কিনব।’
বইমেলায় ঘুরতে আসা সাহেদ খান বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে সারা দিন ঘোরাঘুরি করলাম, এখন বইমেলায় এসেছি। বসন্তে যেমন ফুলের কদর বাড়ে, তেমনি বাড়ে কবিতার বইয়ের খোঁজ। বইমেলায় না এলে হয়তো অনেক কিছুই মিস করতাম।’
ফাল্গুনের প্রথম দিন মেলাতে অন্যান্য দিনের তুলনায় বই বিক্রির হার বেড়েছে অনেক। প্রতিটি স্টলেই দেখা গেছে বইপ্রেমীদের ভিড়।
বইমেলায় ১৩তম দিনে বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী নতুন বই এসেছে ১৫০টি। এর মধ্যে কবিতার বই ছিল সবচেয়ে বেশি।