কলকাতায় শুরু হলো ১০ দিনব্যাপি বাংলাদেশ বইমেলা
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সম্মিলিত উদ্যোগে কলকাতার মোহরকুঞ্জ প্রাঙ্গণে ‘৯ম বাংলাদেশ বইমেলা কলকাতা ২০১৯’-এর উদ্বোধন হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে এই বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ এবং লেখক, গবেষক ও বাংলা একাডেমি সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ও পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড সম্পাদক সুধাংশু দে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘দেশের বাইরে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশের বই মেলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আদানপ্রদানের মাধ্যমে আমরা দুদেশই উপকৃত হচ্ছি। আট বছর ধরে কলকাতায় বাংলাদেশ বই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে জেনে আমার খুব ভাল লেগেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যারা করছে তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বইমেলার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুদেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন। যাঁরা দুদশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আমাদের সাংস্কৃতিক বন্ধনকে অটুট রাখতে তাই বাংলাদেশ বই মেলার জন্য আমরা প্রতিবছর কলকাতাকে বেছে নিয়েছি।’
প্রখ্যাত লেখক ও গবেষক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বইমেলার মাধ্যমে আমরা দুদেশের মানুষকে মেধা ও মননশীলতায় সমৃদ্ধ করতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের লেখকদের বই পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বইমেলা পশ্চিমবঙ্গে জরুরি ছিল। সে প্রত্যাশা পূরণ করেছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির এ বাংলাদেশ বই মেলা। বাংলাদেশের বাঙালি হোক আর পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হোক সবার প্রবল আগ্রহ বইয়ের প্রতি। তাই এই ধরনের বইমেলা আরো বাড়ানো উচিত।’
উদ্বোধনী পর্ব শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিল্পীরা। গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি এবং নৃত্য পরিবেশন করেন শান্তিনিকেতনের মোহালি আদিবাসী।
বাংলাদেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া মেলামঞ্চে প্রতি সন্ধ্যায় থাকছে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার ও কবিতা পাঠ। এ বইমেলা চলবে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে শনি ও রবিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮:৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই মেলা। এবারের বই মেলায় ৬০টি স্টলে ৮০ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।