শেষ সেশনে নাঈমের চমক
ঘাসের উইকেটে পেসারদের দারুণ জন্য সুবিধা থাকলেও চমক দেখিয়েছেন চমক দেখিয়েছেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। ছুটতে থাকা জিম্বাবুয়ের ছন্দ ভেঙেছেন তরুণ এই স্পিনার। জিম্বাবুয়ের হারানোর পাঁচ উইকেটের মধ্যে তিনটিই নিয়েছেন নাঈম। বাকি দুটি নিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০১ রান।
এদিন ব্যাটিংয়ের শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কা বেশ ভালো ভাবেই কাটিয়ে উঠে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে দলকে দারুণভাবে টানছিলেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও প্রিন্স মাসভরে। দুজন মিলে এই জুটিতে তোলেন ১১১ রান। অবশেষে অফ স্পিনার নাঈম হাসান ভাঙলেন শতরানের এই জুটি। এরপর ব্যাটিং করতে নামা ব্রেন্ডন টেইলরকেও টিকতে দেননি নাঈম। প্রথম সেশনে দাপট দেখানো জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন তরুণ এই অফ স্পিনার।
৪৮তম ওভারের প্রথম বলে ওপেনার প্রিন্সকে আউট করেন নাঈম। অবশ্য আউট হওয়ার আগেই নিজের ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন অতিথি ওপেনার। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ বলে ৬৪ রানে সাজঘরে যান তিনি। এরপর ১০ রানে টেইলরকে ফিরিয়ে দেন নাঈম। এরপর সিকান্দার রেজাকেও সাজঘরে পাঠান তিনি। বাকি দুটি নেন রাহী।
মিরপুর টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশন দারুণভাবে পার করেছে জিম্বাবুয়ে। শুরুর দিকে ওপেনার কেভিন কাসুজাকে হারালেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে দলটি। উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে প্রথম সেশন নিজেদের দখলেই রাখে সফরকারীরা। প্রথম সেশনে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৮০ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।
আজ শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাবধানে করে জিম্বাবুয়ে। উইকেটে থিতু হতে চেয়েছেন দুই ওপেনার কেভিন কাসুজা ও প্রিন্স মাসভরে। প্রথম ছয় ওভারে এসেছে কেবল এক রান। সেই রানটিও এসেছে ওয়াইড থেকে। অষ্টম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। অষ্টম ওভারের শেষ বলে রাহির বলে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান কেভিন কাসুজা। ফেরার আগে ২৪ বলে ২ রান করেন তিনি। এরপর অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও মাসভরের দ্বিতীয় জুটিতে দারুণভাবে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। বল হাতে ধুঁকছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
টানা পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার লক্ষ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান সফরে যাননি তিনি। তবে এক টেস্ট বাদে ফের দলের হয়ে খেলছেন গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটসম্যান।
মুশফিক ছাড়াও একাদশে ফিরেছেন নাঈম হাসান। বিসিএলে দারুণ বোলিং করা তরুণ এই অফ স্পিনারকে একাদশে সুযোগ দিতে ভুল করেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট। আগের টেস্টে খেলা মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল হোসেনের জায়গায় ফিরেছেন মুশফিক-নাঈম। অন্যদিকে অনেক দিন পর দলের ফিরলেও মূল একাদশে জায়গা হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের। পেস আক্রমণে সুযোগ মেলেনি তাসকিন আহমেদেরও।
টানা পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হওয়ার লক্ষ্যে আজ শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে। গত এক বছরে টেস্টে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। শেষ জয়টা এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৮ সালে। তখন প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে উইন্ডিজদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশে নিজের অধ্যায়ের ইতি টানেন লঙ্কান কোচ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশও হারিয়েছে জয়ের ছন্দ।
হারের শুরুটা হয় গত বছর ফ্রেব্রুয়ারিতে। নিউজিল্যান্ড সফরে দুই ম্যাচে হেরে দেশে ফেরে বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে হারে এই ফরম্যাটের নবীন দল আফগানদের কাছে। ডিসেম্বরে ভারত সফরে হোয়াইটওয়াশ। শেষ পাকিস্তানেও ইনিংস ব্যবধানে হার। সব মিলিয়ে হতাশার সাগরে ডুবে আছে বাংলাদেশ।
জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দুই দলই। তবে সাদা-পোশাকে কারা বাজিমাত করতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।