চীনকে আরেক হাত দেখে নিলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেছেন। মুদ্রা কৃত্রিমভাবে মূল্যহ্রাস এবং দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক স্থাপনার মধ্যে দিয়ে উত্তেজনা তৈরির জন্য তিনি চীনকে দোষারোপ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের দুটি বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের এই সমালোচনা করেন।
এর আগে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলে চীনের প্রতি একরকম বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিতর্কিত ওই ঘটনার মাত্র দুদিন পরই চীনের বিভিন্ন নীতির প্রতি ট্রাম্পের এমন সমালোচনা প্রকাশ পেল।
গত রোববার দুই টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কষ্টকর করতে চীন তাদের মুদ্রার মূল্যহ্রাস করে রেখেছে। আমাদের দেশের পণ্য বিপুল ট্যাক্স দিয়ে চীনের বাজারে প্রবেশ করছে, অথচ এগুলোতে আমরা কোনো ট্যাক্স নেইনি। আরব দক্ষিণ চীন সাগরে চীন সামরিক স্থপনা তৈরি করছে। এগুলো ঠিক কি না চীন আমাদের কাছে জানতে যায়নি।
তাইওয়ানের নিজেদেরই অংশ বলে দাবি করে চীন। এ জন্য প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার করা হবে বলে চীন বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়েছে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র বলে পরিচিত দেশটির সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলির একটি সংস্করণের প্রথম পাতায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা বলা নিয়ে একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা বলার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে।