ট্রাম্পের গোঁড়ামিতেই ছড়াচ্ছে বিদ্বেষ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অবিরত গোঁড়ামি’র কারণেই ‘বিদ্বেষ অনুশীলন’ হচ্ছে। ট্রাম্প বর্ণবাদী গোষ্ঠীকে এমনভাবে ‘মূলধারায়’ এনেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বড় দলের কোনো প্রার্থী কখনোই করেননি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের রেনো শহরের এক কমিউনিটি কলেজে নির্বাচনী প্রচারণায় দেওয়া ভাষণে হিলারি এসব কথা বলেন।
হিলারি বলেন, ‘শুরু থেকেই বিদ্বেষ এবং ভ্রান্ত বিষয়ের ওপর গড়ে ওঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা। বিদ্বেষী গোষ্ঠীগুলোকে তিনি মূলধারায় এনেছেন এবং তাঁরই সহায়তায় উগ্র মতাবলম্বীরা রিপাবলিকান পার্টির দখল নিয়েছে। আমাদের দেশকে মহান করা মূল্যবোধগুলোকে অবজ্ঞা করেছেন ট্রাম্প, যা ভয়ংকর বিপদের।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ভক্স’-এর বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, নেভাদায় হিলারির ৩৫ মিনিটের ব্ক্তৃতার বড় অংশজুড়েই ছিল রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্পের বিভিন্ন কথা ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনা। হিলারি উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল, মেক্সিকোর বংশোদ্ভূত মার্কিন বিচারক গঞ্জালো কুরেলকে নিয়ে ট্রাম্পের কটূক্তি, বারাক ওবামার জন্মস্থান নিয়ে প্রশ্ন, কট্টর ডানপন্থী ‘অল্ট-রাইট’ আন্দোলনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা। এ ছাড়া ১৯৭৫ সালে সংখ্যালঘুদের বাড়িভাড়া দিতে অস্বীকৃতির কারণে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার কথাও উল্লেখ করেন হিলারি।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে ঠাট্টা করে হিলারি বলেন, ‘অনেকে বলে, প্রেসিডেন্ট হলে ট্রাম্পের সঙ্গে অনেক উপদেষ্টা থাকবে, যাঁরা তাঁর খারাপ ইচ্ছেকে সংযত করবেন। তাই কোনো ভয় নেই। হঠাৎ কোনো খোঁচা খেয়ে ট্রাম্প ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে চাইলে, কেউ তাঁর মাথা ঠান্ডা করবেন।’
হিলারির কড়া সমালোচনার জবাবে এক টুইট বার্তায় ‘ক্রুকডহিলারি’ হ্যাশট্যাগে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘এইমাত্র হিলারির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শুনলাম। অতি সংক্ষিপ্ত এবং সব মিথ্যা। তিনি জনমনে ভীতি ছড়াচ্ছেন।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার দলের পক্ষ থেকেও হিলারির নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
ডোনাল্ট ট্রাম্পের প্রচার ব্যবস্থাপক কেলিঅ্যান কনওয়ে বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে হিলারি ক্লিনটনের কোনো আশা, দূরদৃষ্টি ও ভাবনা নেই।
সম্প্রতি কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা যায়, নির্বাচনে সব দিক থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হিলারি। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে রিপাবলিকান দলেই বিভাজন দেখা গেছে। এমনকি ট্রাম্পের প্রচারণায় তহবিল দিতেও অস্বীকার করেছেন রিপাবলিকান দলের অনেক নেতা।