শুক্রাণুদাতার মেয়ে খুঁজে পেলেন ৪০ ভাইবোনকে
মার্কিন তরুণি কিয়ানি অ্যারোয়ো (২১) জানতেন তাঁর বাবা একজন পেশাদার শুক্রাণুদাতা। আর সেই সূত্র ধরেই তিনি খুঁজতে থাকেন তাঁর বাবার ঔরষে জন্ম নেওয়া ভাইবোনদের।
কিয়ানি অ্যারোয়োকে প্রায় অসাধ্য সাধন করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডোর অধিবাসী অ্যারোয়ো মেট্রোকে জানান, তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই খোঁজাখুঁজি চালিয়েছেন।
অ্যারোয়ো বলেন, ‘আমি কেবল আমার মায়ের আদরযত্নেই বড় হয়েছি। আমার মা আমার জন্মের বিষয়টি নিয়ে সবসময় সৎ ছিলেন। আমি যে একজন শুক্রাণুদাতার শুক্রাণু থেকে জন্ম নিয়েছি তা আমার মা কখনো লুকাননি।’
অ্যারোয়ো যখন রেকর্ড ঘেঁটে দেখার মতো যোগ্যতা অর্জন করেন তখন থেকেই শুরু হয় তাঁর সৎ ভাইবোনদের খুঁজে ফেরা। এই খোঁজাখুঁজিতে অ্যারোয়ো প্রথম খুঁজে পান জোয়ানা নামে তার এক বোনকে। ২০ বছরের জোয়ানা অ্যারোয়োর কাছাকাছি এলাকায় থাকতেন।
অ্যারোয়ো বলেন, ‘যদিও আমরা এর আগে কখনো দেখা হয়নি তবুও একই পিতা আমাদের মধ্যে একটি অন্য রকম যোগসূত্র তৈরি করেছে।’ এর আগে অ্যারোয়ো ১৮ বছর বয়সে তাঁর মা রুথকে নিয়ে প্রথম বাবার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দেখাটি হয়েছিল ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে ভ্রমণের সময়।
সাধারণত একজন শুক্রাণুদাতা ১৫-২০ বারের বেশি শুক্রাণু দান করতে পারেন না। কিন্ত অ্যারোয়োর বাবা যে কোম্পানিকে শুক্রাণু দিয়েছিলেন তাদের রেকর্ড হারিয়ে গিয়েছিল। তাই তারা তাঁর শুক্রাণু দানের হিসাবটি ঠিকঠাক রাখতে পারেনি।
অ্যারোয়োর খুঁজে পাওয়া ৪০ ভাইবোনের মধ্যে ৩০ জনই অ্যারোয়োর সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।