পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
টানা বাদানুবাদের পর নিজেদের মাটিতে জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানের সব ধরনের নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে ‘জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য’ বলে টুইট করার পর পরই স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে সহায়তা বন্ধের এ ঘোষণা এলো। আর এই নিরাপত্তা সহায়তা তত দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, যত দিন না পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও আফগানিস্তানের তালেবানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে।
কয়েক দিন ধরেই পাকিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে বাকবিতণ্ডা তুঙ্গে রয়েছে। বিশেষত গত সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ বিষয়ক একটি টুইটের পর থেকে। টুইটে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গত ১৫ বছর ‘বোকার মতো’ পাকিস্তানকে তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার সাহায্য দিয়েছে। বিনিময়ে তারা ‘মিথ্যা ও প্রতারণা’ ছাড়া আর কিছুই পায়নি।
ঠিক এর পরদিনই জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, পাকিস্তানকে ২৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ-সহায়তা দেবে না ওয়াশিংটন।
আর এর জবাবে মার্কিন দূতকে তলব করে ট্রাম্পের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করে ইসলামাবাদ।
এর মধ্যেই নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধের ঘোষণা এলো মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নুরেট এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমরা পাকিস্তানের নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ করছি। যত দিন পর্যন্ত না দেশটির সরকার তাদের দেশে তৎপর আফগান তালেবান গোষ্ঠী ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেবে।’
‘এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করছে এবং মার্কিন নাগরিকদের টার্গেট করে আসছে। এ জন্যই পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধ রাখা হবে,’ যোগ করেন হিদার নুরেট।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত মিত্র হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের জন্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় আঘাত। তবে আফগানিস্তান ও ভারত প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের। কেবল চীন এ বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষে রয়েছে।