লোকসভায় কংগ্রেসের ২৫ সদস্যকে বহিষ্কার
ভারতের লোকসভায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে কংগ্রেসের ২৫ সদস্যকে পাঁচ দিনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন ‘তুমুল বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টির জন্য ওই সদস্যদের বহিষ্কার করেন।
বহিষ্কৃত সদস্যরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি তুমুল হট্টগোল করছিলেন বলে লোকসভার প্রতিবেদকের সূত্রে জানিয়েছে এনডিটিভি। স্পিকার বারবার সভার ভেতরে কংগ্রেস সদস্যদের প্ল্যাকার্ড বহন ও স্লোগান দিতে নিষেধ করার পরও ওই আইনপ্রণেতারা তাঁদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান। শেষে বিকেল ৪টার দিকে লোকসভার সদস্যদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেন স্পিকার।
বহিষ্কারের ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারকে ব্যাপারটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেন। কিন্তু স্পিকার তা শোনেননি। বহিষ্কারের পরই আজকের অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্পিকার।
ভারতের লোক ও বিধানসভার চলতি বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর পর বারবার বিরোধীদের হস্তক্ষেপে ব্যাহত হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআইএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস মিলে কখনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ইস্তফার দাবিতে, কখনো রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের ইস্তফার দাবিতে বিরোধীরা সংসদ উত্তাল করে কার্যত অধিবেশন অচল করে দিয়েছেন।
এর মধ্যেই আজ সোমবার সকালে সংসদের জট কাটাতে সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অধিবেশনে কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, বিজেপির ‘অভিযুক্ত’ তিন নেতাকে সরানোর আগ পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে।
এর আগে গত দুই সপ্তাহে সংসদ সচল রাখার জন্য অন্তত তিনবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন স্পিকার। সুমিত্রা মহাজন নিজে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সবাইকে অনুরোধ করেও ফল হয়নি।
এর আগে ২০১৪ সালেও লোকসভায় ‘নজিরবিহীন’ সংঘর্ষে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১৮ সংসদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বহুল আলোচিত তেলেঙ্গানা রাজ্য বিল নিয়ে বিরোধের জেরে সংসদ সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে, মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপের পর জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করার পদক্ষেপ নেন স্পিকার ।