ভারতের মুম্বাইয়ের নেহরু নগরের একটি রাস্তা ধরে বন্ধুদের সঙ্গে সেলাইয়ের ক্লাসে যাচ্ছিল ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী। পথে তাকে নিয়ে মন্তব্য করেন ২০ বছরের বেশি বয়সী এক যুবক। কিশোরী সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে গেলে যুবক চড়াও হন তার ওপর। যুবকটি একের পর এক ঘুষি ও চড় মারতে থাকেন কিশোরীকে। একপর্যায়ে কিশোরীটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।

গত মঙ্গলবার পুরো এই ঘটনা ধরা পড়েছে রাস্তার পাশে থাকা একটি ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়, কিশোরীকে মারার সময় রাস্তার আশপাশে কয়েকজন ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই মেয়েটিকে রক্ষা করতে আসেননি।

পুলিশের ভাষ্য, কিশোরীকে আঘাত করা যুবকের নাম শহিদ শেখ। তিনি কিশোরীর প্রতিবেশী, থাকেন একই ভবনে।

পুলিশ আরো জানায়, কিশোরীর মূর্ছা যাওয়ার খবর তার মা-বাবাকে জানায় বন্ধুরা। তাঁরা দ্রুত এসে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাকে ঘাটকোপরের রাজাওয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কিশোরীর মা-বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বলা হয়, যুবকটি প্রথমে তাঁদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে এবং পরে প্রতিবাদ জানালে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

অভিযোগ দায়েরের দিনই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু পরের দিন সকালেই তিনি জামিনে মুক্তি পান।

ভুক্তভোগীর পরিবারের ভাষ্য, কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে যুবকটি তাদের মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দেন।

সেই অভিযোগের পর শনিবার সন্ধ্যায় যুবককে আরেকবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ দফায় তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্তার নতুন অভিযোগ এনে হাজতে নেওয়া হয়।