রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস বিশ্বব্যাংকের
মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। দেশটি তাদের নিজস্ব দারিদ্র্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পরও রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা দেবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সহায়তার অংশ হিসেবে থাকবে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুপেয় পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ক্যাম্পের পাশে সড়ক নির্মাণ।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেটির ডিক্সনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৈঠকে মন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ এই কর্মকর্তাকে জানান, প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে আসায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘…রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন। আমরা বিশ্বব্যাংকের সহায়তার জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছি। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অতি দরিদ্র্যদের তহবিল ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) অর্থ সহায়তা পেতে পারে’, বলেন অর্থমন্ত্রী।
অ্যানেটি ডিক্সন রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো এবং দারিদ্র্য হ্রাস ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, রোহিঙ্গারা খুব শিগগিরই নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যাবে। তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা খুবই প্রয়োজন। আমরা তাদের সহায়তা প্রদানে সম্ভাব্য সব কিছু করব।’