সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির শিক্ষামন্ত্রী আহমেদ আল ঈসা এই ঘোষণা দেন। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল হায়াত এই খবর জানিয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করার পর এই ঘোষণা দিল মন্ত্রণালয়। ওই অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে মোবাইল নিয়ে যায়। এবং মোবাইল ফোন বহনের অজুহাতে বিভিন্ন কোর্সে শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য ঘোষণা করে। 

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তাঁদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ভালোমন্দ বুঝতে পারেন। কিছু শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখতে হয়। মোবাইল ফোন ছাড়া তা সম্ভব নয়।   

এর আগে গত রোববার রিয়াদের কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নিয়ম বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। বেলা ১১টার আগে ক্যাম্পাস থেকে বাইরে যেতে হলে অভিভাবকের অনুমতির প্রয়োজন হতো। এখন থেকে সেই অনুমতি নেওয়ার আর দরকার পড়বে না বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের। 

দুই বছর আগে ‘ভিশন-২০৩০’ নামে একটি সংস্কার কর্মসূচি শুরু করে সৌদি আরব। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে তেলের ওপর নির্ভরতা থেকে অর্থনীতিকে বের করে আনা, তরুণ নাগরিকদের কর্মসংস্থানে নতুন নতুন খাত তৈরি, নারীর ক্ষমতায়ন ও নাগরিকদের জীবনযাপনের ওপর কড়াকড়ি শিথিলের মতো বিষয়গুলো। আর এর শুরুর ধাপ হিসেবে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি।