উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সরাসরি যোগাযোগ’
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনা করতে দেশটির সঙ্গে ‘সরাসরি যোগাযোগ’ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিষয়টি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পিয়ংইয়ং আলোচনায় আগ্রহ দেখায়নি বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।
চীন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সাংবাদিকদের গতকাল শনিবার এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (উত্তর কোরিয়া) জিজ্ঞাসা করেছি, আপনারা কী আলোচনায় আগ্রহী? পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আমরা একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা কোনো আগ্রহ দেখায়নি, একপর্যায়ে আমরা হতাশ হই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যে পরস্পরকে কটাক্ষ করে ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং যুদ্ধ-হুমকি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। বিষয়টি উল্লেখ করে রেক্স টিলারসন বলেন, ‘আমি মনে করি, দুজনেরই শান্ত হওয়া দরকার। উত্তর কোরিয়া যদি ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করে তাহলে সেটা অবশ্যই এই পরিস্থিতি শান্ত করতে সাহায্য করবে।’
যদিও এর আগে টিলারসনই বলেছিলেন, ‘উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম থেকে সরে না আসলে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবে না যুক্তরাষ্ট্র।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো উপায়ে এবং তাদের কোনো কর্তাব্যক্তি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। এখনো এ বিষয়ে আলোচনার রাস্তা খোলা আছে বলেও উল্লেখ করেন টিলারসন।
এদিকে উদ্বেগ প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, আগামী ১০ অক্টোবর উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টি এবং ১৮ অক্টোবর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস উপলক্ষে দেশটি প্ররোচনামূলক কার্যক্রম চালাতে পারে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া তাদের ষষ্ঠ ও বৃহৎ পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে যাতে পরমাণু হামলা চালাতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার এই পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একের পর এক অবরোধ দিলেও তাঁরা তা অব্যাহত রেখেছে।
‘নিরাপত্তার স্বার্থে চলবে পরমাণু কার্যক্রম’ কিম জং-উনের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন টিলারসন। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরও বলব, আমাদের লক্ষ্য এই অঞ্চলকে ধ্বংস করে দেওয়া নয়। নিরাপত্তার স্বার্থে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কার্যক্রম থেকে সরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।’