মেলানিয়া ট্রাম্পের দেওয়া বই ফিরিয়ে দিলেন লাইব্রেরিয়ান!
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের প্রিয় লেখকের মধ্যে ড. সুসও আছেন। মার্কিন মুলুকে শিশুতোষ বইয়ের লেখক হিসেবে সুস বেশ জনপ্রিয়। ড. সুসের লেখা বই একটি স্কুলে দিয়েছেন মেলানিয়া।
কিন্তু ওই স্কুলের লাইব্রেরিয়ান এসব বই নিতে নারাজ। তাঁর অভিযোগ, সুসের লেখা বইগুলো বর্ণবাদের দোষে দুষ্ট। একই সঙ্গে ট্রাম্পের শিক্ষানীতি নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ক্যামব্রিজপোর্ট স্কুল নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুসের লেখা বই পাঠান মেলানিয়া ট্রাম্প। স্কুলের লাইব্রেরিয়ান লিজ ফিপস এসব বই গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান। আপত্তি জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একটি চিঠিও লেখেন তিনি। ওই চিঠিতে তিনি জানান, সুসের বইয়ের ছবি ‘বর্ণবাদী প্রচারণায় ঠাসা’, ‘ব্যঙ্গাত্মক’ এবং ‘ক্ষতিকর’।
এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিফানি গ্রেশাম জানান, শিশুদের সাহায্য করার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন মেলানিয়া ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যত সংখ্যক সম্ভব তত সংখ্যক শিশুকে সাহায্য করতে চান তিনি।’
লাইব্রেরিয়ানের আপত্তি থাকতেই পারে। তবে তা আমলে নিচ্ছে না ক্যামব্রিজপোর্ট স্কুল। স্কুল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোন বই গ্রহণ করা হবে আর কোন বই গ্রহণ করা হবে না, তা দেখার এখতিয়ার লাইব্রেরিয়ানের না।
একই লেখকের বই অন্যান্য স্কুলেও দেবেন মেলানিয়া। শিশুতোষ ১০টি বইয়ের তালিকাও প্রকাশ করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
ড. সুস নামে পরিচিত ওই লেখকের পুরো নাম থিওডর সুস গেইজেল। তিনি ১৯০৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন, মারা যান ১৯৯১ সালে। তিনি ছিলেন একাধারে লেখক, রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট, কবি, প্রকাশক এবং শিশুতোষ বইয়ের লেখক। শিশুতোষ বইয়ের জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয়। ২০টিরও বেশি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে তাঁর বই।
লাইব্রেরিয়ান লিজ ফিপস সুসের কাজের ওপর বর্ণবাদের অভিযোগ আনলেও সুসের ভক্ত খোদ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ২০১৬ সালে এক ভাষণে ওবামা জানান, পাঠকের মনে ছাপ ফেলার জন্য সুস তাঁর অবিশ্বাস্য মেধা ব্যবহার করত।