জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নিজেকে বা মিত্রদের রক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘে দেওয়া প্রথম বক্ততায় ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বলেন, ‘রকেট ম্যান আত্মঘাতী মিশনে আছে।’

উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি পরমাণু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, যা জাতিসংঘ নীতিমালার পরিপন্থি।

ট্রাম্পের ভাষণের আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যুদ্ধের পথে আমরা ঘুমিয়ে থাকব না।’

ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে ইরানকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, দেশটিতে দুর্নীতিবাজ একনায়কতন্ত্র ক্ষমতায় আছে, যা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকবার উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র পরীক্ষার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। কিন্তু ভ্রুক্ষেপ করেনি দেশটি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজেকে বা মিত্রদের রক্ষা করতে বাধ্য হয়, আমাদের সামনে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ভাষণে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে কিছু বলেননি। যদিও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে বাংলাদেশে চার থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।

পরে অবশ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ট্রাম্প বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।