বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল প্রেমিকা। তাতেই মাথা বিগড়ে যায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সাই কিরণের। ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে পাহাড় থেকে ধাক্কা মেরে প্রেমিকা চাঁদনীকে খুন করে সে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদ শহরে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। খুনের অভিযোগে কিরণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপরাধ স্বীকার করে সে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার থেকেই নিখোঁজ ছিল চাঁদনী জৈন নামে ১৭ বছর বয়সের ওই ছাত্রী। হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ীর মেয়ে সে।  কিরণের সহপাঠীও ছিল  চাঁদনী।

নিহত চাঁদনীর বোন নিবেদিতা জানিয়েছে, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে চাঁদনী ঘটনার দিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ৯টার পরও বাড়ি না ফেরায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবারের লোকজন। পরে চাঁদনীর বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটি পাহাড়ের নিচ থেকে চাঁদনীর বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

চাঁদনীর পরিবারের সদস্যরা জানান, কিরণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল চাঁদনীর। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কিরণের সহপাঠী ছিল সে। প্রেমিকার মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে কিরণ চাঁদনীর বাড়ি গেলে সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ জানিয়েছে, সর্বশেষ চাঁদনীকে বন্ধু কিরণের সঙ্গে একটি অটোরিকশা থেকে নামতে দেখা গেছে। তারপর বাসে ওঠার জন্য তারা এগিয়ে যায়। 

পুলিশ আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে কিরণ জানিয়েছে, চাঁদনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক বছর দুয়েকের। কিন্তু শেষ কয়েক মাস ধরে তাকে এড়িয়ে চলছিল সে। কিন্তু তাকে ক্রমাগত বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিল চাঁদনী। হত্যার দিন কিরণ তাকে শহর থেকে একটু দূরে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তারপরই চাঁদনীকে ধাক্কা মেরে প্রায় ১০ ফুট নিচে ফেলে দেয় সে।