ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে শিক্ষকের মারধরের পর এক শিক্ষার্থীর পাঁচতলা ভবন থেকে লাফ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার হায়দরাবাদের মীরপিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।   

পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ১৭ বছর বয়সী দ্বাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী কলেজের একজন ছাত্রীকে নিয়ে বাজে কথা লেখে। বেঞ্চে ওই মন্তব্য লেখার অভিযোগে কলেজের দুই শিক্ষক তাঁকে ভাইস প্রিন্সিপালের কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরে ভাইস প্রিন্সিপালসহ ওই দুই শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। গত সোমবার অভিযুক্ত ছাত্রকে মারধরের পর মা-বাবাকে কলেজে ডাকা হয়। 

এরপর ভাইস প্রিন্সিপাল সেই শিক্ষার্থীকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেন।

মীরপিত থানার পুলিশ কর্মকর্তা রঙ্গেস্বামী জানান, বাড়িতে ফিরে ছেলেটি তার বাবাকে তাঁর কৃতকর্মের কথা্ জানায়নি। বরং বলে, কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও দুই শিক্ষক মিলে তাঁকে মারধর করেছেন। সে আর বাঁচতে চায় না। এর পরই সে বাড়ির পাঁচতলা ভবন থেকে লাফ দেয়। এতে ওই শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এখন সে হাসপাতালে ভর্তি ।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেসব কথা যদি তার বাবা শুনতে পান তাহলে তাকে বকাঝকা করতে পারেন, এমন ভয় কাজ করছিল তার ভেতর।  এ ভয় থেকেই ছেলেটি ভবন থেকে লাফ দেয়।

এদিকে শিক্ষার্থীকে মারধর করার কারণে ওই ভাইস-প্রিন্সিপাল ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কাউকে আটক করেনি পুলিশ।