ভারত সরকার প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।  দেশটির রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সুপ্রিম  কোর্টের রায় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা এই খবর জানিয়েছে।  

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে  বসবাসকারী একটি জনগোষ্ঠী। এদের বেশির ভাগই মুসলমান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস করলেও দেশটিতে তাদের কোনো নাগরিকত্ব নেই। চলমান সহিংসতায় সামরিক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত লাখো রোহিঙ্গারা  আশ্রয় নিয়েছে  বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়াসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে। 
হুসাইন জোহার (১৭) নয়া দিল্লির মদনপুর খদর এলাকায় সিগারেট বিক্রি করে। এই যুবক ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে ভারতে আসে। যমুনা নদীর এই এলাকায় ২০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা পাঁচ বছর ধরে বসবাস করে আসছে।

হুসাইন বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এই সহিংসতার মধ্যে কীভাবে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যাব? তবে স্বাভাবিক অবস্থায় যদি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাই, অবশ্যই আমরা নিজেদের ভূমিতে ফিরে যাব। 

সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার রাদ আল-হুসেইন  রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ভারত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার মাঝে এভাবে ফেরত পাঠাতে পারে না। 

গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জঙ্গিরা রাখাইন রাজ্যের পুলিশ থানায় হামলা চালায় এবং ১২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে। চলমান সহিংসতার মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে সোয়া তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।