শিশু বিশেষজ্ঞ কফিলকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে
ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে হাসপাতালে কমপক্ষে ৬০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কফিল খান নামের এক শিশু বিশেষজ্ঞকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন দিল্লির চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের হাসপাতালে পরপর বহু শিশু মারা যায়। সেই হাসপাতালে শিশুরোগ ও শিশুদের মস্তিষ্কপ্রদাহ ওয়ার্ডের প্রধান ছিলেন কফিল খান। ঘটনার পর রোববার দায়িত্বে অবহেলার দায়ে কফিলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস তথা এআইআইএমএসের আবাসিক চিকিৎসকদের একটি সংগঠনের প্রধান ড. হরজিৎ সিং ভট্টি বলেন, ‘চিকিৎসকদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।’
চিকিৎসকদের সংগঠনটির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই বলা হয়েছে, শিশুমৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের দায়ী করে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার ‘গণস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে উপেক্ষা করেছে।’
চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘রাজনীতিকরা তাঁদের অযোগ্যতা ঢাকার চেষ্টা করছেন।’ এতে প্রশ্ন করে বলা হয়, ‘অক্সিজেন, গ্লাভস ও উপকরণ না থাকলে দায়ী কে হবে?’
গত বৃহস্পতিবার গোরখপুরের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভরপুর ছিল মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত আক্রান্ত নবজাতকে। সেই দিনই হাসপাতালটিতে মৃত্যু হয় ২৩ শিশুর। একদিনে হঠাৎ এত শিশুর মৃত্যুর জন্য অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট অনেকে অক্সিজেন সরবরাহের অভাবকে দায়ী করেছেন।
এ ঘটনার দায় নিয়ে বিরোধী দলগুলো যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে যোগী ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ দেওয়ার কথা বলেছেন। আর তাঁর প্রশাসন বারবারই হাসপাতালে অক্সিজেনস্বল্পতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।