চীন সীমান্তে সেনা ও সতর্কতা ‘বাড়াল’ ভারত
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই চীনের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। একই সঙ্গে দেশটির পক্ষ থেকে ওই এলাকায় সতর্কতার মাত্রাও বাড়ানো হয়েছে।
সরকারি বিশ্বস্ত কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীন, ভুটান ও নেপালের সীমান্তবর্তী রাজ্য সিকিম এবং ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সীমান্তবর্তী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার সীমান্তে টহল দেন ভারতীয় সেনারা। সংঘাতের আশঙ্কায় থাকা এসব সীমান্ত এলাকায় সেনা বাড়ানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ভারতের সেনা কর্মকর্তারা। তাঁদের ভাষ্য, অভিযানের বিস্তারিত বিষয়ে কথা বলতে পারেন না তাঁরা।
সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে, চীনের আগ্রাসী বাক্যবিনিময়ের ও বর্তমান দ্বন্দ্বাবস্থার সতর্ক বিশ্লেষণ করেই ভারত নতুন তৎপরতা শুরু করেছে।
দুই মাস আগে সিকিম সীমান্তের দোকলাম মালভূমিতে ঢুকে চীনের সেনাদের সড়ক নির্মাণকাজে বাধা দেয় ভারতের সেনারা। এরপর থেকেই মুখোমুখি হয় দুই দেশ। এর পর থেকে কোনো পক্ষই পিছু হটার কোনো আলামত দেখায়নি।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দোকলাম মালভূমি (যেটিকে তারা দোংলাং বলে) তাদের ভূখণ্ডের অংশ। সেখানে সড়ক নির্মাণের পূর্ণ অধিকার তাদের আছে। কিন্তু ভারত ও ভুটানের দাবি, এই অঞ্চলটি হিমালয় সাম্রাজ্যের অংশ।
দিল্লির পক্ষ থেকে চীনকে হুঁশিয়ার করে বলে দেওয়া হয়েছে, এই অঞ্চলে সড়ক নির্মাণ মারাত্মক নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করবে। কারণ সড়ক নির্মিত হলে ভুটান, ভারত ও চীনের সীমান্তবর্তী এলাকাটির স্থিতাবস্থা থাকবে না।
এ নিয়ে চলা সংঘাতের সর্বশেষ খবর হলো, সীমান্তের দুই প্রান্তেই প্রায় ৩০০ করে সেনা মাত্র কয়েক শ ফুট দূরে অস্ত্র তাক করে আছে। নির্দেশ পেলেই তাঁরা সামরিক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে।