সৌদিতে মুদি দোকানে কাজ করতে পারবেন না বিদেশিরা!
সৌদি আরবের মুদি দোকান ও কনফেকশনারিগুলোতে বিদেশি নাগরিকদের কাজের সুযোগ বন্ধ করা হচ্ছে। শিগগিরই এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন দেবে দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (এমএলএসডি)।
মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-মদিনার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আল-মদিনার সোমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুদি ও কনফেকশনারি দোকানগুলোর শতভাগ মালিকানা সৌদি নাগরিকদের হাতে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। এর মধ্য দিয়ে সৌদি নাগরিকদের ২০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
খাদ্য ও কোমল পানীয় খাতেও সৌদি নাগরিকদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছে সৌদি সরকার। এ খাতে আরো ছয় হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সৌদির শূরা কাউন্সিল সম্প্রতি শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন, পৌর, পল্লী উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ছোট দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি বড় বড় দোকানকে লাইসেন্স দিতে বলেছে, যাতে সৌদি আরবের নারী-পুরুষদের একটা বড় অংশের কর্মসংস্থান হয়।
শূরা কাউন্সিলের ধারণা, এ সিদ্ধান্ত সৌদির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।
সৌদিতে বিদেশি নাগরিকরা লাইসেন্স করে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে ব্যবসা করতে পারেন।
এমএলএসডির প্রত্যাশা, গাড়ি ভাড়া দেওয়া প্রতিষ্ঠানে বিদেশি নাগরিকদের কর্মসংস্থান সীমিত করলে আরো পাঁচ হাজারের বেশি সৌদি নাগরিকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শুধু মুদি, কনফেকশনারি ও পরিবহন খাত নয়, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতেও বিদেশি নাগরিকদের কর্মসংস্থান সীমিত করতে চাইছে সৌদি আরব। নাগরিকদের বেকারত্ব ঘোচাতেই এমন উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটি।
স্বাস্থ্য খাতে এখন সাড়ে সাত হাজার সৌদি চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান কাজ করছেন। দেশটির সরকারের প্রত্যাশা, ২০২০ সালের মধ্যে এই খাতে ৯৩ হাজার সৌদি নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে।
২০১৬ সালে বিদেশি নাগরিকদের সরকারি খাতে এক লাখ ৪২ হাজার ৮২৪টি এবং বেসরকারি খাতে ১৪ লাখ তিন হাজার ৭৩১টি কর্মভিসা দিয়েছে সৌদি আরব। এ ছাড়া গত বছর ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ গৃহকর্মীর ভিসা দিয়েছে দেশটি।