যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশের নাগরিকদের উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে জানিয়েছে দুটি পর্যটন পরিবহন সংস্থা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে ‘ইয়াং পাইওনিয়ার’ জানায়, ‘আমরা শুধু এ তথ্য জানালাম যে, অচিরেই যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তার দেশের নাগরিকদের উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ২৭ জুলাই থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এ ঘোষণা আসতে পারে। আর এই ঘোষণার ৩০ দিন পর উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণে যেতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করবে দেশটি।’

তবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।

‘ইয়ং পাইওনিয়ার’ যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিবহন ও পর্যটন সংস্থা যাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী অটো ওয়ার্মবিয়ার উত্তর কোরিয়া সফরে  গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে অবকাশযাপনে পাঁচদিনের জন্য উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন ২২ বছরের ওয়ার্মবিয়ার। সেখানে হোটেলে থাকা একটি রাজনৈতিক পোস্টার ছিঁড়ে পকেটে পোরার অপরাধে তাঁকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন উত্তর কোরিয়ার আদালত।

১৫ মাস আটক থাকার পর মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরার পর চলতি বছরের ১৯ জুন মারা যান তিনি।

এরপরই চীনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল যে, অচিরেই হয়তো যুক্তরাষ্ট্র তাদের পর্যটকদের উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

ইয়াং পাইওনিয়ারের কর্মকর্তা রাওয়ান বিয়ার্ড বিবিসিকে জানান, সুইডিশ দূতাবাস সূত্রে তারা এ তথ্য জেনেছেন। উত্তর কোরিয়ায় সুইডিশ দূতাবাসই আমেরিকার সব বিষয় দেখাশোনা করে থাকে। দূতাবাসটি এ পর্যন্ত কতজন পর্যটক উত্তর কোরিয়ায় আছেন, আর কতজন উত্তর কোরিয়া ছেড়ে গেছেন তা জানার চেষ্টা করছেন।

এক প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ায় এখন তিন মার্কিন নাগরিক কারাগারে রয়েছেন। এঁদের একজন হলেন কিম দং-চুল (৬২)। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার আদালত।

দক্ষিণ কোরিয়ার বংশোদ্ভূত আমেরিকার আরেক নাগরিক কিম স্যাং-দুক। যিনি টনি কিম নামেও পরিচিত। ২০১৭ সালে তাঁকে আটক করা হয়। তবে তাঁকে কী কারণে আটক করা হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

দেশটিতে আটক আছেন যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক কিম হাক-সং। তিনি পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (পিইউএসটি) অধ্যাপক। তাঁকে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়েছে।