কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কাতারকে দেওয়া ১৩টি দাবির পরিবর্তে ছয়টি নীতি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবসহ চারটি দেশ।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

গত মাসে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছেদ করে সৌদিসহ বিশ্বের নয়টি দেশ। পরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কাতারকে ১৩টি দাবি দেওয়া হয়। চলতি মাসের ৫ তারিখে ওই দাবি মেনে নেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়।

এদিকে, নতুন ছয়টি নীতিতে কাতারকে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়ানোর সংশ্লিষ্ট কাজ থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে দেশটিকে।

নতুন এই ছয় নীতি সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি কাতার। দেশটির পক্ষ থেকে বরাবরই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার করা অস্বীকার করা হয়।

এর আগে কাতার জানায়, প্রতিবেশীদের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত যদি কাতারের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে তা কখনই মেনে নেওয়া হবে না।

সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সদস্য রাষ্ট্র বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাদের আরব মিত্র মিসর কূটনৈতিকসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে কাতারের সঙ্গে। সেই সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে দেশগুলো সম্প্রতি কাতারকে ১৩টি দাবি দেয়।

কাতারকে দেওয়া ওই শর্তগুলোর মধ্যে দোহাভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা বন্ধ ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক কমানোর বিষয়টিও ছিল। তবে কাতারের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলো ‘অবাস্তব ও বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ বলে দাবি করা হয়।