জাকির নায়েকের পাসপোর্ট বাতিল
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) জানিয়েছে, তাদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামি বক্তা জাকির নায়েকের পাসপোর্ট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে, এনআইএ থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে জাকির নায়েককে ব্যক্তিগত হাজিরার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জাকির নায়েক ওই নোটিশের কোনো জবাব দেননি। এর পরই এনআইএ মুম্বাইয়ের আঞ্চলিক পাসপোর্ট দপ্তরে জাকির নায়েকের পাসপোর্ট বাতিল করার আবেদন জানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কর্তৃপক্ষ তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করেছে।
জাকির নায়েকের কাছে পাঠানো এনআইএর ওই নোটিশে বলা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে কেন তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়।
সূত্র জানায়, গত বছরের জানুয়ারি মাসে জাকির নায়েকের পাসপোর্ট পুনঃনবীকরণ করা হয়। যার বৈধতা ছিল ১০ বছর। এরই মধ্যে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও আর্থিক অনিয়মের তদন্তে নেমেছে এনআইএ।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরই জাকির নায়েক নতুন করে আলোচনায় আসেন। তাঁর বক্তৃতায় গুলশানের হামলাকারীরা অনুপ্রাণিত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরই গত বছরের ১ জুলাই ভারত ছেড়ে চলে যান জাকির নায়েক।
এর পর ১৮ নভেম্বর এনআইএ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ফৌজদারি মামলা রুজু করে। ভারতে তাঁর সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে বেআইনি প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
জাকির নায়েক, তাঁর প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও পিস টিভির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আনে আইএনএ। তাঁকে ধরতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয় এনআইএ। ইন্টারপোল জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করে।