প্রাণিকুলে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তি তৈরি করতে পারে মানুষ
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্টের ফলে বিশ্বে প্রাণিকুলে ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির পথ তৈরি করতে পারে মানুষ।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘নেচার’-এর এক বিশেষ সংস্করণে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
নেচারে লেখা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, অতীতে উল্কাপাত ও আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণে পাঁচবার গণবিলুপ্তির শিকার হয়েছিল প্রাণিকুল, যাতে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল বৃহদাকার প্রাণী ডাইনোসর। সেই সময় যে হারে বিলুপ্ত হয়েছিল, সেই হারে বর্তমান সময়ে স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি ও উভচর বিলুপ্ত হচ্ছে।
নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, গত ৫০ বছরে পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১৩০ শতাংশ হারে। ২০৬০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা হবে এক হাজার কোটি। এই সময়ে সম্পদের জন্য মানুষের চাহিদাও বাড়বে অনেক যা প্রকৃতিতে চাপ বাড়াবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, অতিরিক্ত শিকার, দূষণ, বাসস্থান হারানো, আক্রমণাত্মক প্রজাতির আবির্ভাব ও অন্য মানবসৃষ্ট কারণে হাজার হাজার প্রজাতি বিলুপ্তির শঙ্কায় আছে। এর মধ্যে আছে সব ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণীর ২৫ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ পাখি।
তবে গবেষকরা এ-ও বলেছেন যে, এই প্রক্রিয়া ‘অনিবার্য’ নয়। বাসস্থান সুরক্ষা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন কিংবা অন্য ধরনের সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষ এখনো চাইলে অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে।