প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগ, বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে হত্যা
যেখানে সেখানে মূত্রত্যাগে বাধা দেওয়ায় জীবন দিতে হলো ভারতের রাজধানী দিল্লির বাসিন্দা রবীন্দ্র কুমারকে। একটি রিকশাস্ট্যান্ডে কাজ করতেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রবীন্দ্রের পরিবারের সদস্যরা জানান, রবীন্দ্র রিকশাস্ট্যান্ডের কাছেই একটি রাস্তার পাশে দুজনকে মূত্রত্যাগ করতে দেখেন। তখন রবীন্দ্র তাঁদের বাধা দেন। এতে ওই দুই ব্যক্তি ক্ষেপে গিয়ে রবীন্দ্রকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার হুমকি দেন। সেদিন বিকেলে দলবল নিয়ে তাঁকে মারধর করেন ওই দুই ব্যক্তি। পরে রাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনার পর ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইড়ু এক টুইট বার্তায় বলেন, “এটা দুঃখের বিষয়। প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগ করার প্রতিবাদ করায় দিল্লিতে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো! তিনি ‘স্বচ্ছ ভারত’ আন্দোলনকে সামনে আনার চেষ্টা করছিলেন।”
পুলিশ কমিশনারকে এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আরেক টুইট বার্তায় জানান ভেঙ্কাইয়া।
মারধরের পর ৩৪ বছর বয়সী রবীন্দ্র বড় ধরনের আঘাত পাননি বলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের কাছে যাননি। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে এ ঘটনার কথা পরিবারের সদ্স্যদের জানান।
পরে রাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন রবীন্দ্র। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবৃতি অনুযায়ী পুলিশ একটি মামলা করেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।