ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কুশীনগরে গত শুক্রবার মস্তিষ্কপ্রদাহের টিকাদান কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই সফরে ওই এলাকার তফসিলি নিম্নবর্ণের লোকদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। এর আগে পুত-পবিত্র হতে নিম্নবর্ণের লোকজনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবান, শ্যাম্পু ও ওয়াশিং পাউডার বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। এতে সাবান হাতে ওই এলাকার নিম্নবর্ণের মুশাহার সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

মুশাহার সম্প্রদায়ের এক সদস্য এনডিটিভিকে বলেন, ‘কুশীনগরে যোগী আদিত্যনাথের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে আমাদের ভালোভাবে গোসল করে যেতে বলেছে তারা (স্থানীয় প্রশাসন)।’

ওই সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের লোকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে সুগন্ধি ব্যবহারও করতে বলেছিল। 

ভিডিওটি প্রচারিত হওয়ার পর এরই মধ্যে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাটিতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান ও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘কোনো যোগী যখন একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়, তখন পরিস্থিতি এমনই হয়। এর পর আপনি (যোগী) গরিবদের দেখতে গেলে তাদের কষ্ট একটু বোঝার চেষ্টা করবেন।’

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে জম্মুকাশ্মীরে সীমান্তে নিহত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদস্য প্রেম সাগরের বাড়িতে যোগীর সফর উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করতে হয়েছিলো। প্রেম সাগরের পরিবারের সদস্যরা জানান, যোগীর সফরের আগে স্থানীয় প্রশাসন একটি এয়ার কন্ডিশনার (এসি), কার্পেট, সোফা এমনকি তোয়ালে পর্যন্ত নিয়ে যায়। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর তারা আবার অতিদ্রুত এসব জিনিসপত্র ফেরতও নিয়ে যায়। 

বিএসএফে কর্মরত প্রেম সাগরের ভাই দয়া শঙ্করের ভাষ্য, এটা এক ধরনের অপমান। স্থানীয় প্রশাসন অন্তত দুই-একটা দিন অপেক্ষা করতে পারত।