করমর্দনে ট্রাম্প-ম্যাকরোঁর শক্তি পরীক্ষা
উষ্ণ করমর্দনে ভালোবাসা বাড়ে বৈকি, কমে না। তবে করমর্দনের ক্ষেত্রে অপর পক্ষ যদি হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাহলে বিষয়টি একবার হলেও ভেবে দেখাতে হবে। কারণ দেশ-বিদেশে ট্রাম্প তাঁর বিদঘুটে করমর্দনের জন্য বেশ কুখ্যাত। হাত একবার ধরতে পারলে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন তিনি। তবে ট্রাম্পের ওই অভ্যাস সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ। কৌশলটা বুঝে নিয়ে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই একহাত নিলেন তিনি।
ঘটনা গত বৃহস্পতিবারের। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় উত্তর আমেরিকা নিরাপত্তা জোটের (ন্যাটো) সম্মেলন। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ম্যাকরোঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। সেখানে গিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কিছু কথা বলেন তিনি। তারপর হাত বাড়িয়ে দেন করমর্দনের জন্য।
ম্যকরোঁর চোখের জল বের করে ছাড়বেন এমন প্রত্যাশা নিয়েই করমর্দন শুরু করলেন ট্রাম্প। কিন্তু ফল হলো উল্টো। বিষয়টা আগে থেকে জেনে ম্যাকরোঁ শক্ত চাপ দিলেন ট্রাম্পের হাতে। তরুণ পেশির কাছে হার মানল ট্রাম্পের ত্রাস সৃষ্টিকারী হাত। অবস্থা আরো সঙ্গীন হলে হাত ছাড়িয়ে নেওয়া চেষ্টা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তখনো চোয়াল শক্ত করে ট্রাম্পের হাত শক্ত মুঠিতে ধরে বসে আছেন ম্যাকরোঁ। শেষ পর্যায়ে মুখ লাল হয়ে যাওয়ার পর মুক্তি মিলল ট্রাম্পের।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বে ছিলেন রয়টার্সের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি স্টিভ ওঁলাদ। তিনি বলেন, ট্রাম্প ও ম্যাকরো করমর্দন শুরু করার পর মনে হচ্ছিল যেন ট্রাম্প হাত ছাড়িয়ে নিতে চাচ্ছেন।
এদিকে ন্যাটো সম্মেলন শুরুর দিনে জোটটির নেতাদের অভ্যর্থনা জানাতে যান ম্যাকরোঁ। সেখানে ট্রাম্পের বিধ্বংসী করমর্দনের কবলে পড়েন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে ম্যাকরোঁর হাত ধরে টানাটানি করেন ট্রাম্প। একপর্যায়ে জোর করে হাত ছাড়িয়ে নেন ম্যাকরোঁ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবার ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিলেন কি না কে জানে?