ম্যানচেস্টারে বোমা হামলার ভিডিও প্রকাশ
গান গেয়ে দর্শক মাতিয়ে রেখেছেন মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ড। দর্শকরাও হৈ-হুল্লোড় করে উপভোগ করছেন গান। হঠাৎ বিকট শব্দ। ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চারপাশ। তারপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা রক্তাত্ব লাশ, আহতদের আর্তচিৎকার ও কান্নায় ভারী হয়ে উঠল পরিবেশ। যেন এক নারকীয় অবস্থা।
স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শহরে অবস্থিত ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় একটি কনসার্টে বোমা হামলার বিবরণ এভাবেই দিচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৯ জন। কমপক্ষে ৫০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হামলার পর ঘটনাস্থলের ভিডিও করেন অনেকেই। তারপর পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় ইউরোপের সবচেয়ে বড় অ্যারেনার নিচে ভিক্টোরিয়া রেলস্টেশনে অনেকে আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করছে। এ সময় অনেককে চিৎকার করতে দেখা যায়।
Panicking at Victoria Station after @ArianaGrande concert. Hope everyone is all safe and well. pic.twitter.com/6Q5WNXFkFO
— Zach Bruce (@Zach_bruce) May 22, 2017
আরেকটি ভিডিও ধারণ করা হয় স্টেডিয়ামের শীর্ষ থেকে। সেখানে দেখা যায় বোমা হামলার পর সবাই বিভিন্ন দিকে দৌড়াদৌড়ি করছে।
Everybody at Manchester arena rushing to get out after a explosion!! I've never been so petrified in my life :( pic.twitter.com/emv42XLb10
— jordan (@jordankenney69) May 22, 2017
টুইটারে পোস্ট করা হয় আরো একটি ভিডিও। স্টেডিয়ামের ভেতরে করা ওই ভিডিওতে দেখা যায় সবাই হুড়াহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় অনেকের হাতেই গোলাপি রঙের বেলুন দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামলার পর পরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ২৪ হাজার মানুষ বাঁচার জন্য ছোটাছুটি শুরু করে। ততক্ষণে রক্তে ভেসে যায় অ্যারেনার একাংশ। হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে আসতে থাকে অ্যাম্বুলেন্স ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
পুলিশের বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, এক মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি বিস্ফোরণ হয়। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে কনসার্টের টিকিট বুথের পাশে। এটিকে আত্মঘাতী হামলা বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
এ ঘটনার ঠিক দুই মাস আগে গত ২২ মার্চ জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছিল যুক্তরাজ্য। সে সময়ে দেশটির হাউস অব কমনসের পাশে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের ওপর গাড়ি নিয়ে উঠে পড়ে এক জঙ্গি। ওই হামলায় নিহত হয়েছিল পাঁচজন, আহত হয়েছিল ৪০ জনেরও বেশি মানুষ।