মা ছিল না বাসায়। এই সুযোগে পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে ‘ধর্ষণ’ করলেন বাবা। নৃশংসতা এখানেই শেষ নয়। ধর্ষণের ঘটনা ঢাকতে শিশুটিকে হত্যা করলেন তার দাদি। এরপর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নানা ছল-চতুরি। তবে পার পেলেন না তাঁরা। অগস্ত তাদের স্থান হলো শ্রীঘরে।

গত শুক্রবার ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিক জেলায় জাভুলেক-ভানি নামক গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরে শনিবার শিশুটির বাবা ও দাদিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে শচীন সিন্দে নামে ওই ব্যক্তি বাড়িতে ফিরে তার শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে, এ সময় তাঁর স্ত্রী বাসায় ছিলেন না।

দেবীদাস পাতিল নামের পুলিশের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা জানান, ধর্ষণের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন শচীনের মা আনুসায়া। ধর্ষণের অপরাধে ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হবে এমন ধারণা হয় তাঁর। ছেলেকে বাঁচাতে নাতিকে গলা টিপে হত্যা করেন অনুসায়া। এরপর তিনি ওই শিশুর লাশ একটি স্কুল ভবনের পেছন পুঁতে রাখেন।

সেখানেই থেমে থাকেননি দাদি অনুসায়া। নাতিকে হত্যার পর সোজা চলে যান থানায়। অভিযোগ করেন, তাঁর নাতিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তে নামে পুলিশ। অনুসন্ধানে দেখা যায়, শিশুটিকে খুন করা হয়েছিল বাসাতেই। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যদের ওপরই। এরপর পুলিশি জেরার মুখে সব ঘটনা স্বীকার করেন অনুসায়া ও শচীন।

শচীন ও অনুসায়ার নামে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা দেবীদাস পাতিল।