ভিনগ্রহীরা আমাদের মাঝেই!
ভিনগ্রহীদের নিয়ে মানুষের জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। এ নিয়ে আলোচনাও চলছে অনেকদিন ধরে। সেই আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন মার্কিন পরমাণু পদার্থবিদ স্ট্যান্টন ফ্রিডম্যান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যেই আছে ভিনগ্রহীরা। তবে ছদ্মবেশে। অচিরেই তারা বেরিয়ে আসবে।’
ফ্রিডম্যানের মতে, ভিনগ্রহীদের নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তারা পৃথিবীর সুফলই বয়ে আনবে।
ফ্রিডম্যান মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের গোপনীয় কিছু প্রকল্পে ১৯৫০-এর দশক থেকে ৬০-এর দশক পর্যন্ত ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট (ইউএফও) তথা অসংজ্ঞায়িত উড়ন্ত বস্তুর রহস্য উন্মোচন নিয়ে কাজ করছেন। ১৯৪৭ সালের যুক্তরাষ্ট্রের রসওয়েলে মার্কিন বিমানবাহিনীর ব্যালন দুর্ঘটনার বেসামরিক তদন্তকারী ছিলেন তিনি। তাঁর এই ভাবনাগুলো নিয়ে ‘ইউ আর দ্য ডিসক্লোজার-পার্ট ১’ নামে একটি গ্রন্থ সংকলন বের করেছেন লেখক মিগুয়েল মেনডোনকা।
ফ্রিডম্যানের ভাষ্য, মানুষের বাইরেও যে পৃথিবীতে অন্য কারো অস্তিত্ব আছে তার ভুরি ভুরি প্রমাণ আমাদের আশপাশে আছে।
‘কিছু মৌলবাদী পৃথিবীকে কেবল মানুষের বাসস্থান হিসেবে কল্পনা করে। আর এর বাইরে অস্বাভাবিক যা কিছু দেখা যায় তাকে তারা শয়তানের কাজ বলে অ্যাখা দেয়। তারা বলে পৃথিবী খ্রিস্টপূর্ব ৪০০৪ সালে তৈরি হয়েছে। দুঃখিত মহতীরা, এসব ভুল’, বলেন ফ্রিডম্যান।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) মতো সংস্থাও বিস্ময়করভাবে অ্যালিয়েন থাকার বিষয়টিকে ব্যঙ্গাত্মক করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন ফ্রিডম্যান। ১৯৫৩ সালে রবার্টসন প্যানেল ভিনগ্রহী বলতে কিছু নেই বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। ভিনগ্রহীরা কখনো পৃথিবী ভ্রমণে আসে না—এমন কথা মানুষকে বোঝাতে তারা ওয়াল্ট ডিজনিসহ প্রচারণার সব কৌশল ব্যবহারের সুপারিশ করেছিল।
ফ্রিডম্যান বলেন, ‘অনেক লোকই কিছু প্রমাণ (ভিনগ্রহীর বিষয়ে) কথা বলতে চাচ্ছে বলে আমি নিশ্চিত হয়েছি-এটা এমন কারণে যে তাদের বয়স বাড়ছে, তারা টেলিভিশন দেখে এবং স্বীকার করেছে যে, তাদের বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ ভিনগ্রহী দেখেছে।’