দুই নারীর মধ্যে বিয়ে, পাঞ্জাবে ধুন্ধুমার
ভারতের পাঞ্জাবে এক নারী সরকারি কর্মী তাঁর সঙ্গিনীকে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সেখানে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। রাজ্যে দুজন মেয়ের মধ্যে বিয়ের ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম ঘটল।
রাজ্য সরকারের ওয়ার্ডেন পদে কর্মরত মনজিৎ কাউর সান্ধু (৪৪) দিনকয়েক আগে বিয়ে করেছেন তাঁর ২৭ বছর বয়সী বান্ধবীকে। আর তার পর থেকেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই বিয়ে নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।
অবশ্য এ বিয়ে নিয়ে মিডিয়ায় অনেক ভুলভাল জিনিসও লেখা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মনজিৎ সান্ধু। তিনি বলেন, ‘এগুলো আমার ব্যক্তিগত জীবনে অবাঞ্ছিত নাক-গলানো ছাড়া কিছুই নয়।’
‘যেমন অনেকেই লিখেছে, আমি নাকি একজন পুলিশকর্মী, সেটা ঠিক নয়। তা ছাড়া আমি কোনোদিন অপারেশন করিয়ে আমার লিঙ্গ পরিবর্তনও করাইনি।’
মনজিৎ কাউর আরো দাবি করেছেন, তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত একটি বিষয়, এটা নিয়ে এত হৈচৈ করারও কিছু নেই।
দুই পরিবারের সদস্যদের এ বিয়েতে সমর্থন ছিল এবং তাঁরা সবাই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বলেও জানিয়েছেন মনজিৎ সান্ধু।
পাঞ্জাবের জলন্ধর শহরের পাক্কা বাগ এলাকায় একটি মন্দিরে রীতিনীতি অনুযায়ী এই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় বলেও জানা গেছে।
ধর্মীয় রীতি অনুসারে বিয়ের পর শহরের একটি হোটেলে নবদম্পতির সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। তাতে তাঁদের পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরাও হাজির ছিলেন।
মনজিৎ এরপর লাল পাগড়ি পরে ও ঘোড়ায় টানা রথে চেপে ‘নববধূ’কে নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে ওঠেন। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, মনজিৎ তাঁর নাম অবশ্য প্রকাশ করেননি।
তবে এই বিয়ের ছবি ও ভিডিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে ঝড়ের বেগে।