সন্তান নিতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁরা যমজ ভাইবোন
সন্তান নেওয়ার চেষ্টার অংশ হিসেবে ডিএনএ পরীক্ষা করতে গিয়ে এক দম্পতি দেখেন তাঁরা যমজ ভাইবোন। যুক্তরাষ্ট্রের এ্কটি আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ক্লিনিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য গিয়ে বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন।
মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের জ্যাকসন এলাকায় ক্লিনিকটির এক চিকিৎসক বিষয়টি জানতে পারেন এবং পুরো পরিস্থিতির বর্ণনা দেন। তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
স্থানীয় পত্রিকা মিসিসিপি হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই চিকিৎসক বলেন, ‘এটা স্রেফ নিয়মিত চেকআপ ছিল। আমরা সাধারণত দুটি নমুনার মধ্যে রক্তের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা নিরীক্ষা করি না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গবেষণাগারের সহকারী দুটি প্রফাইলের মিল দেখে চমকে যান।’
চিকিৎসক বলেন, ‘আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, তারা অবশ্যই দূরবর্তী সম্পর্কের হবেন, সম্ভবত চাচাত-মামাত-খালাত ভাইবোন, যা বিভিন্ন সময় হয়ে থাকে। নমুনা দুটি আমি আরো ভালোভাবে দেখি, এতে খুব বেশি মিল পাই।’
এরপর চিকিৎসক ওই দম্পতির ফাইলগুলো দেখেন। এতে তাঁদের জন্ম ১৯৮৪ সালের একই দিনে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এগুলো দেখে আমার বিশ্বাস জন্মে তাঁরা যমজ ভাইবোন।’
তবে চিকিৎসক নিশ্চিত নন এ বিষয়টি ওই দম্পতি আগে থেকে জানতেন কি না। বিষয়টি তাঁদের জানানো হলে তাঁরা হাসিতে ফেটে পড়েন এবং বিশ্বাসই করেননি।
চিকিৎসক বলেন, ‘স্বামী বলেন, একই দিনে তাদের জন্ম এবং দেখতে একইরকম হওয়ায় অনেক লোক তাদের নিয়ে কথা বলে। তবে তিনি বলেন, এটা হাস্যকর দৈব ঘটনা এবং তারা কখনোই আত্মীয় নন।’
চিকিৎসক আরো বলেন, ‘স্ত্রী আমাকে বলেন, আমি কৌতুক করছি এবং আমি যদি করতে পারতাম। তবে তাদের সত্যটা জানতে হবে।’
শেষ পর্যন্ত দম্পতির সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসক বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
চিকিৎসক বলেন, ‘সত্যটা হলো, তাদের মা-বাবা মারা যাওয়ার পর দুজনকেই দত্তক নেওয়া হয়েছিল। এর অর্থ হলো দুজনের একইরকম শৈশব কেটেছে এবং দুজনই অনুভব হতো তারা সত্যিই আত্মীয়র বন্ধনে সম্পর্কিত।’
জানা গেছে, শৈশবেই গাড়ি দুর্ঘটনায় মা-বাবা মারা যান এই দম্পতির। কাউকেই কারো পরিবার দত্তক নিতে চায়নি। সরকারি তত্ত্বাবধানে তাদের নেওয়া হয় এবং পৃথক পরিবারে তাদের দত্তক দেওয়া হয়। তবে কোনো পরিবারকেই যমজ থাকার বিষয়টি জানানো হয়নি।