যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব শন স্পাইসার ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।

রয়টার্স জানায়, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, পলিটিকো, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস ও বাজফিডের সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

শন স্পাইসারের ওই ব্রিফিং অন্যান্য দিনের মতো টেলিভিশনে দেখানোর কথা ছিল। তবে পরে সেখানে ক্যামেরা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

ওই সাংবাদিকদের কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি তা জানানো হয়নি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে। তবে রয়টার্স, এবিসি, ফক্স নিউজ, ওয়াশিংটন পোস্টসহ ১০টি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিককে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

শুক্রবারের ওই সম্মেলনের বিষয়ে শন স্পাইসার বলেন, ‘প্রতিদিন ক্যামেরার সামনে সব কিছু করার দরকার নেই।’

এ ছাড়া স্পাইসার জানান, ‘মিথ্যা খবর’ প্রকাশের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হোয়াইট হাউসে কোনো কোনো সময় শুধু নির্বাচিত কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে বেশির ভাগ সময়ে সম্মেলনগুলো সব মাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার পর থেকে বেশ সমালোচনা হচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমজুড়ে। সিএনএনের পক্ষ থেকে একটি টুইটার পোস্টে জানানো হয়েছে, এটি ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ। যখন কোনো সত্য ঘটনা প্রকাশ করা হয়, আর সেটি তাদের পছন্দ না হয়, তখন তারা এমন প্রতিহিংসা দেখায়।

বিবিসির ওয়াশিংটন অফিসের দপ্তর প্রধান ডিন বাকেট জানান, বিবিসি সব সময়ই হোয়াইট হাউসের প্রতিদিনের ব্রিফিং প্রকাশ করে। তবে শুক্রবার কেন তাদের অংশ নিতে দেওয়া হলো না তা স্পষ্ট নয়।

সাংবাদিকদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সম্প্রতি  ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, সাংবাদিকরা দুর্নীতির ব্যবস্থার অংশ। সংবাদমাধ্যমগুলো সত্য প্রকাশ করতে চায় না। তারা তাদের নিজেদের বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

এর আগে  হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সেই সঙ্গে এর অসততার মাত্রাও এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’